সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: বাঙালির আবেগে ফুটবল (Football)। বাঙালির রক্তেও ফুটবল। তাই বনমহল পুরুলিয়ায় (Purulia) মানুষজনের সুরক্ষায় পুরুলিয়া জেলা পুলিশের (Purulia Police) ‘সহায়’ এপ-র বর্ষপূর্তিতে, প্রযুক্তিগত সুবিধা মানুষজনের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দিতে শুরু হল ফুটবলকে নিয়ে সহায় কাপ। শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই সহায় কাপের উদ্বোধন হয় বরাবাজারের এটিম গ্রাউন্ডে। পুলিশের (Police) অ্যাপের প্রচারে এমন অভিনব ফুটবল এর আগে দেখেনি জঙ্গলমহল। যার মধ্য দিয়ে ফুটবল প্রতিভার অন্বেষণ ঘটিয়ে কলকাতায় খেলার সুযোগ করিয়ে দেবে পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। সেই কারণেই পুরুলিয়া জেলা পুলিশের অযোধ্যা কাপের মতো এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য।
জঙ্গলমহল পুরুলিয়ায় ২৩টি থানার ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ১৯০টি দলকে নিয়ে এই ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হল। যেখানে প্রায় ৩ হাজার ফুটবলার অংশ নিচ্ছেন। এক মাস ধরে জেলার ৫০টি জায়গায় এই খেলা গুলো হবে। প্রথম বর্ষেই ‘সহায়’ কাপের এই আয়োজনের গরিমা কার্যত সৈকত কাপ, জঙ্গলমহল কাপ বা সুন্দরবনের কাপের মতোই। এই ফুটবলের মধ্য দিয়েই পুরুলিয়া জেলা পুলিশের লক্ষ্য, এই জেলায় এন্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করা সকলের ফোনে যাতে ‘সহায়’ অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এই জেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ তাদের নিজস্ব এন্ড্রয়েড মোবাইলে এই অ্যাপটি ডাউনলোড করেছেন। তার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ মানুষজন এই অ্যাপ সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করছেন। এই জেলায় বেড়াতে আসা পর্যটক থেকে নানান কাজ নিয়ে আসা মানুষজনও এই অ্যাপ ডাউনলোড করেন। যার সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি।
[আরও পড়ুন: হরমনের জোড়া উইকেটে ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া, ফের টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে ভারত]
পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , “বাঙালির আবেগ ফুটবল। বাঙালির রক্তে মিশে আছে এই খেলা। তাই ‘সহায়’-র মতো জনপ্রিয় এপ-র বর্ষপূর্তিতে আরও বেশি করে তা মানুষজনের সুরক্ষার কাজে পৌঁছে দিতে ফুটবল ছাড়া আর অন্য কোন প্ল্যাটফর্ম হতে পারে না। তাই অ্যাপের প্রচারে জেলা জুড়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু করলাম। আমাদের লক্ষ্য এই জেলায় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করা সকলের মোবাইলে যাতে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যায়।”
প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য বলেন, ” আমি কয়েক মাস আগে অযোধ্যা কাপেও এসেছিলাম । এই কাপগুলোর মধ্য দিয়ে যে সকল প্রতিভা উঠে আসবে তারা যাতে কলকাতার মাঠে খেলতে পারেন, এর সব রকমভাবে চেষ্টা করব। এই খেলার মধ্য দিয়ে ফুটবল যেমন এগিয়ে যাবে তেমনই মানুষজনের সুরক্ষায় এই ‘সহায়’ অ্যাপ আরও প্রচার, প্রসার হবে। “
পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা হবে শহর পুরুলিয়ার এমএসএ ময়দানে। সেই ফাইনালকে ঘিরে দিনভর নানান অনুষ্ঠান হবে বলে জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়। এদিন ‘সহায়’-র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও আলাদাভাবে নজর কাড়ে। লোকশিল্প নাটুয়া সেই সঙ্গে এলাকার একটি সংস্থার শারীরিক কসরত প্রদর্শন চোখ টানে। তাদের ওই কাজের মধ্য দিয়ে ‘সহায়’ লেখা ফুটে ওঠে ফুটবল গ্রাউন্ডে।