সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শুক্রবার সোমালিয়ার (Somalia) হায়াত হোটেলে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হয়। তিরিশ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষের পরে হোটেল থেকে জঙ্গিদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে সেদেশের সেনাবাহিনী। তবে সরকারি ভাবে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি সোমালিয়া সরকারের তরফে। ইতিমধ্যেই জঙ্গি হামলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন প্রায় ৭০ জন। জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করেছে ভারত।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনা কর্তা জানিয়েছেন, “দেশের নিরাপত্তাবাহিনী আপাতত হোটেলটিকে দখলমুক্ত করেছে। জঙ্গিরা (Terrorist Attack) সকলেই মারা গিয়েছে। গত একঘণ্টা ধরে হোটেলের ভিতর থেকে গুলির শব্দ আসেনি, সেই কারণেই আমরা অনুমান করছি জঙ্গিদের নিকেশ করা গিয়েছে। হোটেলের মধ্যে কোনও বিস্ফোরক রয়েছে কিনা, তার জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।” তবে ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে বা আহতের সংখ্যা কত, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য জানাননি তিনি।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আরও কোণঠাসা ইমরান, আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে হতে পারেন গ্রেপ্তার]
জানা গিয়েছে, জঙ্গি হামলা নিয়ে রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করবে সোমালিয়া সরকার। ইতিমধ্যে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে আল কায়দার শাখা সংগঠন আল শাবাব। জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা করে টুইট করেছেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি বলেছেন, “সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর হায়াত হোটেলে জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। জঙ্গি হামলার মোকাবিলা করতে সোমালিয়া সরকার এবং সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে ভারত।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৬/১১-র মুম্বই হামলার ধাঁচেই শুক্রবার সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর অদূরে অবস্থিত অভিজাত হায়াত হোটেলে হামলা চালায় জঙ্গিরা। একটি বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি নিয়ে হোটেল ঢুকে আত্মঘাতী হামলা করে জঙ্গিরা। হামলায় মোগাদিশুর গোয়েন্দা প্রধান মূহদিন মহামেদও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, গত রবিবার সোমালিয়ায় মার্কিন বিমান হানায় আল শাবাবের ১৩ জন সদস্য নিহত হয়। সেই আক্রমণের বদলা নিতেই মোগাদিশুর হোটেলে হামলা চালিয়েছে জঙ্গি সংগঠনটি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।