অর্ক দে, বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College & Hospital) প্রাণহানির ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে চলছে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি। এই পরিস্থিতিতে শনিবার হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকতে গেলে বাধা পান বিজেপি প্রতিনিধিরা। বাধা পান স্থানীয় বিধায়কও। পরে তাঁরা হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেন।
শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডে ৬ নম্বর ব্লকে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। তাতে এক করোনা রোগীর প্রাণহানিও হয়। এই ঘটনার পর রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিয়ে আগেই সুর চড়ান বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনা স্বাস্থ্যব্যবস্থার রুগ্ন দশার প্রমাণ বলেই দাবি তাঁর। যদিও তার পালটা জবাবও দেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। বেলা বাড়তেই হাসপাতালে যান বিজেপির প্রতিনিধিরা। বর্ধমান মেডিক্যালের কোভিড ওয়ার্ডে ঢুকতে যান তাঁরা। যদিও কোভিডবিধি মেনে ওই ওয়ার্ডে ঢুকতে বাধা পান বিজেপি নেতারা। পরে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি প্রতিনিধিরা। কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটল, সে বিষয়ে খোঁজখবর নেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ, রামকৃষ্ণ মিশনের রাঁধুনির রহস্যমৃত্যুতে গ্রেপ্তার মহারাজ]
বর্ধমান মেডিক্যালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্যদপ্তর। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেন
স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যসচিব। তাঁরা জানান, “এমন ঘটনা অনভিপ্রেত। কোনওভাবে বরদাস্ত করা যায় না। কোনও হাসপাতাল কর্মী জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরও একটি কমিটি গঠন করেছে। ৬ সদস্যের ওই কমিটিতে ফরেন্সিক এবং মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরাও রয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনেও যাবেন প্রতিনিধিরা। কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা।
এর আগে হাসপাতালের তরফেও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়াও রাজ্যের প্রত্যেকটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের ফায়ার অডিটের নির্দেশ স্বাস্থ্যদপ্তরের। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিয়ে কোথাও কোনও খামতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।