সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বকখালিতে (Bakkhali) ফের বড়সড় দুর্ঘটনা। রক্তেশ্বরী চরের কাছে ট্রলারডুবি। ওই ট্রলারে ছিলেন ১২ জন মৎস্যজীবী। দু’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ অন্তত ১০ জন। ট্রলারটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে মৎস্যজীবীদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, এফবি হৈমবতী নামে ওই ট্রলারটি পাঁচদিন আগে সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল। ট্রলারে (Trawler) ছিলেন মোট ১২ জন মৎস্যজীবী। ঠিক সেই সময়ে রক্তেশ্বরী চরের কাছে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। আশপাশের ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীদের ঘটনাটি নজরে আসে। তড়িঘড়ি উদ্ধার কাজে হাত লাগান তাঁরা। ট্রলারে থাকা ২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ট্রলারটিকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ওই ট্রলারে থাকা ১০ জন বর্তমানে নিখোঁজ। ওই ট্রলারটিকে পাড়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। তার মধ্যে মৎস্যজীবীরা আটকে রয়েছেন কিনা, তারপর তা জানা যাবে। তাঁদের মৃত্যুর আশঙ্কাও এড়ানো যাচ্ছে না।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল-ঘনিষ্ঠতার জল্পনার মধ্যেই ‘মহারাজে’র দরবারে বিজেপি, কোচবিহারে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চরমে]
এর আগে গত ১৮ জুন বকখালিতে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। কলস দ্বীপের কাছাকাছি এফবি তারামা ট্রলার ডুবে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার করা হয় ট্রলারে থাকা ১২ জন মৎসজীবীকে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারডুবি হয় বলেই খবর। খারাপ আবহাওয়ার সতর্কতা জারি থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু মৎস্যজীবীর ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। তার ফলে ঘটছে বিপদ। পেটের দায়েই কার্যত বাধ্য হয়ে তাঁরা সমুদ্রে পাড়ি দিচ্ছেন বলেই মত কারও কারও।