স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে ওষুধ (Medicine) সরবরাহের তালিকা থেকে বাদ পড়ল বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ। যে সমস্ত ওষুধ বিনামূল্যের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে তার মধ্যে রয়েছে ক্যানসার, ডায়াবেটিসের ওষুধ। এই সিদ্ধান্তের জেরে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের।
অঙ্কোলজির ওষুধ সিসপ্লাটিন, এটোপোসাইড, সাইক্লোফসফামাইড, এনোক্সাপারিন। এমনকী, ডায়াবেটিসের অপেক্ষাকৃত দামি ওষুধ লিনাগ্লিপটিন ও ভিলডাগ্লিপটিনের বদলে টেনেলিগ্লিপটিনের মতো কম দামের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা মধ্যবিত্তরা।
[আরও পড়ুন: ভরে উঠেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, অসময়েই গ্রামে লক্ষ্মীপুজো করলেন ফলতার গ্রামের গৃহবধূরা]
বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের জন্য বছরে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বরাদ্দ করে ৭০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এমন পাঁচটি ওষুধ রয়েছে যার জন্য বছরে খরচ ৬০ কোটি টাকা। সে ক্ষেত্রে কম দামের ওষুধ দিয়ে রাজ্যের সাশ্রয় হতে পারে প্রায় ১২ কোটি টাকা। সূত্রের খবর, ওষুধের অপচয় বন্ধ করতেই এই সরবরাহে রাশ টেনেছে রাজ্য সরকার।
সাংসদ চিকিৎসক ডা. শান্তনু সেন জানিয়েছেন, “আমাদের মেডিসিনের একটা তালিকা আছে। কিছু মানুষ ইচ্ছা করে সেই ওষুধ না লিখে সেই কমপোজিশনেরই দামী ব্র্যান্ডের ওষুধ লিখে দেন। রোগীর আত্মীয়রা এর ফলে বিপাকে পড়েন। আমরা এটাও দেখেছি প্রাইভেট চেম্বারে রোগী দেখার পরে সেই ডাক্তারবাবু তাঁর রোগীকে ধরে রাখার জন্য সরকারি একটা জায়গা থেকে প্রেসক্রিপশন করিয়ে সেগুলো হাসপাতালে বিনামূল্যে আনতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অবশ্যই সেটা সবাই নয়। এক শ্রেণির মানুষ করছে। যার ফলে এরকম পরিস্থিতি।”
[আরও পড়ুন: মালদহে ডাক্তারি ছাত্রের রহস্যমৃত্যু, বেঙ্গালুরুতে পড়তে যাওয়ার ৮ ঘণ্টা আগে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]
একাধিক চিকিৎসক সংগঠন এই সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস সংগঠনের বক্তব্য, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যেখানে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত সেখানে স্বাস্থ্যদপ্তর সেখান থেকেই সাশ্রয় করতে চাইছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে অযথা খরচ কমিয়ে বরং স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত। সরকারি স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, কোনও ওষুধ বন্ধ করা হয়নি। বরং একই রোগের চিকিৎসায় একাধিক মলিকিউলের ওষুধ থাকে। দামি মলিকিউলের ওষুধের পরিবর্তে কমদামি ওষুধ রাখা হচ্ছে। এর জন্য কার্যকারিতায় কোনও বদল আসবে না।