কলহার মুখোপাধ্যায় ও অর্ণব দাস: উত্তর দমদমের নিমতার (Nimta) সাবিত্রীপল্লিতে শুট আউট। ভরসন্ধেয় গুলির আঘাতে মৃত্যু তৃতীয় লিঙ্গের সুমনার। দু’টি বাইকে করে এসে চার দুষ্কৃতী গুলি চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। কী কারণে সুমনাকে খুন করা হল, তা নিয়েই রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রেমঘটিত কারণ নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুমনা ধর। তিনি উত্তর দমদম পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবিত্রীপল্লি এলাকারই বাসিন্দা। দু’টি বাইকে চড়ে চারজন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়ির সামনে আসে। গুলিও চালায় তারা। উত্তর দমদম পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ছোট ফিঙ্গা সাবিত্রীপল্লিতে নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হন সুমনা। তিনটি গুলি তাঁর পিঠ ফুঁড়ে দেয়। পরপর গুলির আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সুমনা। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তাঁর। বারাসত রথতলা সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় সুমনাকে। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমুতে আপত্তি! ‘No Kissing Zone’ বিজ্ঞপ্তি আবাসিকদের]
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তৈরি হয়েছে চাপা উত্তেজনা। কে বা কারা সুমনাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল তা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নিমতা থানার পুলিশ। কলকাতায় রূপান্তরকামীদের একটি সংগঠনের প্রধান রঞ্জিতা এই ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, “এর আগেও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের উপর নির্মম আক্রমণ নেমে এসেছে। কখনও শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে, অ্যাসিড হামলা হয়েছে। এবার তো একজনকে খুনই করে ফেলা হল। ওঁকে চিনতাম। ভীষণ খারাপ লাগছে।” এই ঘটনার পিছনে প্রেমঘটিত সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের একাংশ মনে করছে।