ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ। সদ্য সন্তান জন্ম দেওয়া মায়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে (Bolpur Sub Divisional Hospital)। মৃতার পরিবারের লোকজনেরা হাসপাতালে বিক্ষোভও দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বোলপুর থানার পুলিশ।
মৃতার নাম আগমনী হাজরা। বর্ধমানের রাজুর গ্রামে বাপের বাড়ি আগমনী হাজরার। বছর চব্বিশের ওই মহিলার সঙ্গে নানুর থানার সাওতা গ্রামের সুজয় হাজরার বিয়ে হয়। বছর সাতেক আগে বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। ছ’বছর বয়সি একটি কন্যাসন্তানও রয়েছে তাঁদের। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা (Pregnant) হয়ে পড়েন তিনি। গত ৪ সেপ্টেম্বর আগমনী হাজরা বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি হন। পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। চারদিনের মাথায় পুত্রসন্তানকে নিয়ে বাড়ি চলে যান আগমনীর পরিজনেরা।
[আরও পড়ুন: শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, টাকা দাবি প্রতারকের]
শনিবার থেকে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হতে থাকে তাঁর। পেট দিয়ে রক্তও বেরতে শুরু হয়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার সকালে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় আগমনী হাজরার। খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার পরিজনেরা। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সামনে রোগীর পরিজনরা ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মৃতার স্বামীর অভিযোগ, প্রসবের পর ঠিকমতো সেলাই করা হয়নি। সে কারণেই সন্তান প্রসবের চার-পাঁচদিন পর প্রচুর রক্তপাত হয়েছে তাঁর। পরিবারের আরও অভিযোগ, অত্যন্ত অপরিষ্কার একটি ঘরে ওই মহিলাকে ভরতি রাখা হয়েছিল। চিকিৎসক রোগীর পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি বলেও অভিযোগ।
রোগীর পরিবারের বিক্ষোভের খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। তদন্তের আশ্বাসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। চিকিৎসকের গাফিলতিতে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলেই বোলপুর হাসপাতালে সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতার পরিজনেরা। তদন্ত করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানান হাসপাতাল সুপার।
দেখুন ভিডিও: