মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: মাস খানেক আগে আমফানের (Amphan) দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য। প্রবল সমস্যায় বহু মানুষ। টিফিনের জমানো টাকা দিয়ে হাওড়ার শ্যামপুরের এমনই কিছু দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াল কলকাতার (Kolkata) খুদে পড়ুয়ারা। হাতে তুলে দিল খাদ্যসামগ্রী ও জামাকাপড়। খুদেদের সহযোগিতা পেয়ে আপ্লুত অসহায় মানুষগুলো।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী স্নেহা সেনাপতির বাবা নেই। মা এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। কিন্তু এই সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল স্নেহা। আর তাই টিফিনের খরচ বাঁচিয়ে কয়েকশো টাকা ত্রাণ তহবিলে দিয়েছে সে। তেমনই কলেজ ছাত্র রোহন, টিউশন পড়িয়ে যা আয় হয় সেখান থেকেই টাকা জমিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অসহায় মানুষদের দিকে। ত্রাণে আর্থিক সহায়তা আর্থিক সহায়তা করেছে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া প্রীতম প্রামাণিক, সৌমজিৎ চ্যাটার্জী দেবলিনা সিনহা ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া স্বর্ণা ভট্টাচার্য-সহ অনেকেই।
[আরও পড়ুন: পরকীয়ায় বাধা দিয়েছে মেয়ে, শায়েস্তা করতে নিজের প্রেমিককে দিয়ে ধর্ষণ করাল মা]
সম্প্রতি শ্যামপুরের কুলটিকরি ও দেওড়া এলাকার কয়েকশো মানুষের হাতে আলু, পেঁয়াজ, তেল, বিস্কুট, সোয়াবিন, শিশুদের জন্য দুধ তুলে ওই দেয় পড়ুয়ারা। জানা গিয়েছে, কলকাতার বেহালায় যে গৃহ শিক্ষকের কাছে তাঁরা পড়ে, তাঁর উদ্যোগেই এই ত্রাণ বিলির ব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে প্রীতম, সৌমজিৎ, রোহন, দেবলীনারা বলে, ” আমরা নিজেরা মূলত টিফিনের খরচের থেকে জমানো টাকায় যতদূর সম্ভব ত্রাণবিলির ব্যবস্থা করেছি।” শিক্ষিকা শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রত্যেক ছাত্র সাধ্যমত সাহায্য করেছে। কেউ টাকা দিয়ে, কেউ জামাকাপড় দিয়ে। আমি সকলকেই সাধুবাদ জানাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য। জানা গিয়েছে, কুলটিকরি এলাকায় মাদার টেরিজা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি নামে এক সংস্থা রয়েছে। তাদের সঙ্গেই শর্মিলাদেবীর যোগাযোগ হয়েছিল। সেই সংস্থার মাধ্যমেই এই ত্রাণ বিলির আয়োজন। ওই সংস্থার কর্ণধার তথা শ্যামপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ঝর্ণ প্রামাণিক খুদে পড়ুয়াদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: দরকারে চিনে গিয়ে ঘাতকদের খতম করা হবে, শহিদ রাজেশের অন্ত্যেষ্টিতে শপথ জওয়ানদের]
The post টিফিনের জমানো টাকায় হাওড়ার আমফান বিধ্বস্তদের পাশে খুদে পড়ুয়ারা, বিলি করল খাদ্যসামগ্রী appeared first on Sangbad Pratidin.