সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে পুলিশের চোখের সামনে আততায়ীদের হাতে খুন হন ‘গ্যাংস্টার’ এবং সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) পাঁচবারের বিধায়ক ও ফুলপুরের প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ (Atiq Ahamed) ও তাঁর ভাই আশরফ। এই মামলায় এবার যোগী সরকারকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, অতজন পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কী করে এমন ঘটনা ঘটল?
বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট ও অরবিন্দ কুমারের বেঞ্চের মন্তব্য, ”৫ থেকে ১০ জন আতিককে ঘিরে ছিল। তাহলে কী করে কেউ এল আর গুলি করে দিল? এটা কী করে হল? এর মধ্যে কেউ জড়িত।” এই মামলায় তদন্ত কতদূর পৌঁছেছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্টও চাইল বিচারপতিদের বেঞ্চ।
[আরও পড়ুন: Durand Cup Derby Live: যুবভারতীতে শাপমুক্তি, সাড়ে চার বছর পর ডার্বির রং লাল-হলুদ]
আতিকের বোন আয়েশা নুরির আরজি তাঁর ভাইদের হত্যার ব্যাপক তদন্তের জন্য একটি নির্দেশনা চাই। সেই আরজিতে সাড়া দিয়ে যোগী সরকারকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ২০১৭ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ এনকাউন্টার সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছ থেকে।
প্রসঙ্গত, প্রয়াগরাজে উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছিলেন আসাদ এবং তাঁর সঙ্গী গুলাম। পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’ অপরাধীর তালিকায় ছিলেন এই দু’জন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগরাজে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল খুনের একমাত্র সাক্ষী উমেশ পাল। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় উমেশের দুই নিরাপত্তারক্ষীরও মৃত্যু হয়। উমেশ খুনে অভিযোগ ওঠে আতিক, তার ভাই আশরফ, পুত্র আসাদ, গুলাম-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে।