অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: একের পর এক বিয়ে করেই চলেছে ছেলে। নিজের বিলাস এবং স্ত্রীদের ভরণপোষণের টাকার জন্য বাবার উপর চাপ তৈরি করে সে। বারবার ছেলেকে বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে ভাঙল ধৈর্যের বাঁধ। বাধ্য হয়ে বিয়ে পাগল ছেলেকে ঠেকাতে সাংবাদিক বৈঠক করলেন বাবা। ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী মুর্শিদাবাদের রানিনগর বাজার।
ছেলের একাধিক বিয়েতে অতিষ্ঠ হয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন বাবা নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, “ছেলে মোমিনুল ইসলাম এক একটা বিয়ে করে আর টাকার জন্য আমার উপরে চাপ সৃষ্টি করে। বাধ্য হয়ে আমি এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের বলেছিলাম ব্যবস্থা করে দিতে। তাই তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।” বৃদ্ধ বাবার ছেলের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, “কাজকর্ম করবে না। খাবে-দাবে ঘুরে বেড়াবে এমনই নেশা তার। প্রথম স্ত্রীকে ভাত দেয় না। তার ছেলেকে আমি মিশনে রেখে পড়াই, তাতেও তার আপত্তি। অত টাকা দিয়ে পড়ানোর কি দরকার? এলাকার স্কুলে পড়িয়ে ওই টাকা তাকে দিতে বলে। ছোট ছেলেকে বাড়ি করে দিয়েছি তাতেও কথা। অত টাকা দিয়ে বাড়ি করে টাকা নষ্ট করা কেন? আমাকে টাকা দাও?” তিনি আরও বলেন, “অতিষ্ঠ হয়ে পাঁচ বছর আগে আমিই পুলিশকে দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছিলাম। অন্য কেউ দেয়নি। ওর চার নম্বর স্ত্রী গাঁজা খায়। বললাম রেখে আয় ওই বউকে, তা শুনল না। উলটে আমাকেও হুমকি দিত।”
[আরও পড়ুন: চাঁদনি চকে ফের অগ্নিকাণ্ড, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা]
জানা গিয়েছে, ছেলে ও তার চার নম্বর স্ত্রী মাদক মামলায় পাঁচ বছর জেল খেটে বেরিয়েছে সম্প্রতি। আর বেরিয়েই গোপন জায়গা থেকে বাবার ফেসবুক প্রোফাইল ব্যবহার করে লাইভ করে। এলাকার লোকজন, তৎকালীন পুলিশ অফিসার, এমনকী জেলারকেও কুরুচিকর আক্রমণ করে। তার অভিযোগের নিশানায় রানিনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি শাহ আলম সরকারও। তার প্রেক্ষিতেই বাবা পালটা সাংবাদিক বৈঠকও করেন। তাঁর দাবি, “ছেলের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ওর চিকিৎসা দরকার। কিন্তু হুজ্জতি করে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে না। এখন তো কোথায় আছে তাও জানি না। কেবল টাকার দরকার হলেই হুমকি দিচ্ছে।”
দেখুন ভিডিও: