অর্ণব আইচ: কলকাতার (Kolkata) ব্যবসায়ীর ছেলেকে অপহরণ করে পাঞ্জাবে আটকে রাখার অভিযোগ। মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হচ্ছে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। অভিযুক্তদের কাছে একাধিকবার ছেলেকে ফিরিয়ে দেওয়ার আরজি করে কাজ না হওয়ায় কসবা থানা ও আদালতের দ্বারস্থ ওই ব্যবসায়ী।
পুলিশ জানিয়েছে, কসবার (Kasba) ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ অনুযায়ী, বেলঘরিয়ার এক ব্যক্তি নিজেকে ডিআরডিও-র কর্তা বলে পরিচয় দিয়ে জানান, তিনি বিজ্ঞানী। তেজস্ক্রিয় রশ্মি নিয়ে কাজ করছেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে তাঁর পরিচয় রয়েছে। ব্যবসায়ীকে তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য পাঞ্জাবে যেতে বলেন। তার কথায় বিশ্বাস করে গত ৫ অক্টোবর অভিযোগকারী ব্যবসায়ী হাজির হন পাঞ্জাবের ভাটিন্ডায়। সেখানে অমল সিং, পঙ্কজ শর্মা ও ভূপিন্দর সিং নামে তিনজনকে ব্যবসার অংশীদার বলে পরিচয় করিয়ে দেন বেলঘড়িয়ার ওই ব্যক্তি। ততক্ষণে অভিযোগকারী বুঝেছেন, তিনি অভিযুক্তদের ফাঁদে পড়েছেন। অভিযোগ, এরপর ব্যবসায়ীকে একটি বাড়ির ভিতর আটকে রাখে অভিযুক্তরা। তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাঁর এটিএম কার্ড কেড়ে নিয়ে পিন নম্বর জোর করে জেনে ৭৫ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়। এরপর তাঁর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ২০টি ফাঁকা চেকে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সই করানো হয় স্ট্যাম্প পেপার ও সাদা কাগজে, দাবি অভিযোগকারীর।
[আরও পড়ুন: ফেসবুক পোস্টে পিকে’র প্রশংসা, তুঙ্গে বিজেপি নেতা পরেশচন্দ্র দাসের দলবদলের জল্পনা]
জানা গিয়েছে, এরপর অভিযুক্তরা ব্যবসায়ীর ছেলেকে ফোন করে ভয় দেখিয়ে ডেকে পাঠায়। গত ২২ অক্টোবর ওই যুবক ভাটিন্ডায় পৌঁছন। তখন ব্যবসায়ীকে ছেড়ে তাঁর ছেলেকে আটকে রাখা হয়। ব্যবসায়ীর দু’টি ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়। তাঁকে বলা হয়, ছেলেকে ফেরত পেতে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ‘মুক্তিপণ’ দিতে হবে। যদি তিনি পাঞ্জাবের কোনও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁর ছেলেকে খুন করা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ী কলকাতায় ফিরে আসেন। এরপর লালবাজারে গিয়ে এক পুলিশকর্তাকে বিষয়টি জানান। কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। আদালতেরও দ্বারস্থ হন। মামলা শুরু হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অপহৃত তরুণকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।