সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্জশির (Panjshir)। আফগানিস্তান (Afghanistan) তালিবানের (Taliban) কবজায় চলে আসার পরেও তা মাথা উঁচু করে রাখা এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। আজ থেকে নয়, সেই আটের দশক থেকেই আফগানিস্তানের সোভিয়েত-বিরোধী আন্দোলনের মুখ ছিল পঞ্জশির। আহমেদ শাহ মাসুদ ছিলেন সেই আন্দোলনের পুরোধা। সময় দাঁড়িয়ে থাকে না। এই মুহূর্তে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সেই পঞ্জশিরেরই এক নেতার নাম উঠে আসছে। তিনি আহমেদ মাসুদ। পঞ্জশিরের কিংবদন্তি ‘সিংহ’ আহমেদ শাহ মাসুদের বড় সন্তান।
‘সিংহশাবক’ সেই মাসুদের উপরেই দায়িত্ব বর্তেছে পঞ্জশিরকে তালিবানের হাত থেকে রক্ষা করার। এদিকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি দেশ ছাড়ার পরে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন আমরুল্লা সালেহ। আগের সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট সালেহ নিজেকে দেশের ‘কেয়ারটেকার’ প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছেন। সেই অসমসাহসী সালেহ এখন আহমেদ মাসুদের সঙ্গী।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: দরজায় তালিবান, বাথরুমে গাদাগাদি করে লুকিয়ে সবাই! বাড়ি বাড়ি তল্লাশি জঙ্গিদের়়]
হাস্যমুখ সুদর্শন মাসুদের কথায়, ”আমার বাবার সময় থেকেই অস্ত্র মজুত করা রয়েছে আজকের দিনটার কথা ভেবে। যদি যুদ্ধবাজ তালিবানরা হামলা চালায় আমরা তার উত্তর দিতে প্রস্তুত।” কয়েক দিন আগে পঞ্জশির সীমান্তে মাসুদ বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে পিছু হটতে হয়েছে জেহাদিদের। শুরু হয়ে গিয়েছে প্রতিরোধ।
‘সিংহশাবক’ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পঞ্জশিরকে রক্ষা করার বিষয়ে। যুদ্ধ লড়ার বিদ্যায় তিনি রীতিমতো পারদর্শী। পড়াশোনা করেছেন প্রথমে ইরানের স্কুলে। পরে লন্ডনে। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ সেনার থেকে যুদ্ধের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে স্নাতকোত্তর হওয়ার পাশাপাশি বন্দুক হাতেও সমান পারঙ্গম। একেবারে নায়কোচিত। গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে তাঁর লড়াইয়ের দিকে। শেষ পর্যন্ত তালিবানের সঙ্গে যুদ্ধে কি জিতবেন তিনি? আপাতত সকলের দৃষ্টি সেদিকেই আবদ্ধ। এই লড়াইয়ে বহির্বিশ্বের সাহায্যও প্রার্থনা করছেন মাসুদ।