সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবাসরীয় বিকেলে বিশেষ আইনে পরিবার-পরিজনদের সাক্ষী রেখে জাহির ইকবালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha)। শত্রুঘ্ন-পুনমের একমাত্র মেয়ে। সিনহা পরিবারে নয়নমণি সোনাক্ষী। মা-বাবা তাঁকে চোখে হারান। সেই চেনা গণ্ডী পেরিয়ে জীবনের নতুন ইনিংসে যতটা প্রাণোচ্ছ্বলভাবে ধরা দিলেন অভিনেত্রী, ততটাই ঘন ঘন আবেগপ্রবণ দেখা গেল তাঁকে। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রিসেপশন, একাধিকবার অশ্রুসিক্ত দেখা গেল শত্রুঘ্নকন্যাকে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় জাহিরের পাতানো বোন জন্নত যখন নিয়ম পালন করে বধূবরণ করছিলেন, তখন হবু স্বামীর পাশে বসেই কেঁদে ফেলতে দেখা যায় 'দাবাং গার্ল'কে। ভাইরাল ক্যামেরাবন্দি মুহূর্তে দেখা যায়, ননদ জন্নতকে জড়িয়ে ধরে চোখ ছাপিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে সোনাক্ষীর গাল বেয়ে। আবার সন্ধ্যায় রিসেপশনের আসরেও তাই। ইন্ডাস্ট্রির অগ্রজ কাজল (Kajol) যখন শুভেচ্ছা জানাতে এলেন, তখনও ক্যামেরায় ধরা পড়ল নবপরিণীতার আবেগপ্রবণ মুহূর্ত।
পরনে লাল বেনারসি শাড়ি। হাতে আলতা। চূড়া জোড়া। সিঁথি ভর্তি সিঁদুর নিয়ে কাজল যখন সোনাক্ষীর সঙ্গে ডান্স ফ্লোর মাতাচ্ছেন, তখন আচমকাই তাঁকে ধরে কেঁদে ফেলেন সদ্য বিবাহিতা নায়িকা। অজয় দেবগণের সঙ্গে 'অ্যাকশন জ্যাকশন', 'ভূজ: দ্য প্রাইড অফ ইন্ডিয়া'র মতো একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা। সেই সূত্রেই কাজলের সঙ্গে দারুণ সুসম্পর্ক শত্রুঘ্নকন্যার। এদিন অজয় নিজে অনুপস্থিত থাকলেও বাতিস্তার গ্ল্যামারাস রিসেপশনে নজর কাড়লেন কাজল। নবদম্পতির সঙ্গে পয়লা সাক্ষাতে তাঁর আনন্দঘন প্রতিক্রিয়াও বর্তমানে নেটপাড়ায় ভাইরাল।
[আরও পড়ুন: ‘জাহির ইকবালকে দেখে নেব…’, বিয়ের পরই সোনাক্ষীর স্বামীকে হুমকি হানি সিংয়ের! কেন?]
রঙিন রিসেপশনে স্বামী জাহির ইকবালের সঙ্গে নাচে-গানে মেতে উঠতে দেখা গেলেও মেয়ে হিসেবে এই নতুন শুরুর যে অনুভূতি, সেটা বারবার সোনাক্ষীর চোখেমুখে ফুটে উঠেছে। সাত বছর আগে ঠিক যে দিনটিতে একে-অপরকে মন দিয়েছিলেন, ঠিক সেই দিনেই আইনি মতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন জাহির ইকবাল এবং সোনাক্ষী সিনহা (Sonakshi Sinha Zaheer Iqbal Wedding Reception)। শুভ পরিণয়ের ছবি শেয়ার করে অভিনেত্রী লিখেছেন- “২০১৭ সালের জুন মাসের ঠিক ২৩ তারিখেই আমরা একে-অপরের চোখে ভালোবাসা দেখে আগলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সেই ভালোবাসাই আজ আমাদের এখানে নিয়ে এল। যেখানে ঈশ্বর আর দুই পরিবারের আশীর্বাদ সাক্ষী রইল যে মুহুর্তের। আমরা এখন নবদম্পতি। আজ থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত আমি তোমারই।...”