সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুপোলি পর্দায় তিনি খলনায়ক। কিন্তু বাস্তবের পৃথিবীতে ক্রমেই এক যথার্থ নায়ক হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ (Sonu Sood)। গত বছর লকডাউনের (Lockdown) সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যতই ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই থেকে বারবার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এবার ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিধ্বস্ত দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে পদক্ষেপ করলেন সোনু।
নিজের টুইটারেই তিনি শেয়ার করেছেন তাঁর নতুন টেলিগ্রাম (Telegram) চ্যানেলের কথা। ‘কোভিড ফোর্স’ নামের ওই চ্যানেলের মাধ্যমেই এবার করোনা রোগীরা জানতে পারবেন হাসাপাতালের ফাঁকা বেড, অক্সিজেন সরবরাহ ও ওষুধ সংক্রান্ত তথ্য। তিনি সকলকে একসঙ্গে লড়াই করার আহ্বান জানান ওই পোস্টে। লেথেন, ‘‘এবার গোটা দেশ একসঙ্গে এগবে। আমার এই টেলিগ্রাম চ্যানেলে যোগ দিন। হাতে হাত মেলাব, দেশকে বাঁচাব।’’ সোনুর এই চ্যানেলে যুক্ত হয়ে যে কেউ এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে পারবেন। ফলে যাঁদের এই ধরনের তথ্য দরকার, তাঁরা তা এখান থেকেই পাবেন।
[আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত বাবুল সুপ্রিয়, আসানসোলে ভোট দিতে পারবেন না বিজেপি প্রার্থী]
সদ্যই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সোনু। তবে গত ২৩ এপ্রিল টুইট করে সকলকে নিজের নেগেটিভ হওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন নায়ক। এই খবরে স্বস্তি পেয়েছেন সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তবে করোনা আক্রান্ত থাকার সময়ও সোনু তাঁর অনুগামীদের আশ্বস্ত করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভয়ের কিছু নেই। এখন তিনি আরও বেশি সময় পাবেন অন্যদের সমস্যা সমাধানের। তাঁর অনুগামী এবং সাহায্যপ্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, আগের মতোই তিনি তাঁদের পাশে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বরাবরই প্রচারবিমুখ সোনুর লেখা বইয়ের নাম ‘আই অ্যাম নট দ্য মসিহা’। নামকরণ থেকেই পরিষ্কার, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোনও অতিরিক্ত কৃতিত্ব দাবি করতে চান না তিনি। লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে যেভাবে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল সোনুকে, তা দেখে কুর্নিশ জানিয়েছিল গোটা দেশ। বিভিন্ন অঞ্চলে আটকে পড়া শ্রমিকদের খুঁজে বের করে তাঁদের জন্য আশ্রয় ও সমস্ত সাহায্যের বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি। নিজের সম্পত্তি বিকিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। ক্রমেই বেড়েছে তাঁর প্রতি মানুষের মুগ্ধতা। গত বছরের পুজোয় কলকাতার মণ্ডপে দেখা গিয়েছিল তাঁর মূর্তি! তেলেঙ্গানায় তৈরি হয়েছে মন্দিরও।