রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্মরণসভায় যোগ দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্মরণসভার আয়োজিত হয়েছিল। সেখানে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও। উল্লেখ্য, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেষযাত্রাতেও শামিল হয়েছিলেন প্রাক্তন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। এদিন স্মরণসভায় হাজির থাকতে পেরেও খুশি মহারাজ।
নেতাজি ইন্ডোরে স্মরণসভায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সৌরভ। তার পরে অনুষ্ঠান চলাকালীন বামনেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের পাশে বসতে দেখা যায় তাঁকে। মন দিয়ে বিমান বসুর বক্তব্যও শোনেন তিনি। অনুষ্ঠান থেকে বেরনোর সময়ে সৌরভের মুখে আবারও উঠে আসে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা।
[আরও পড়ুন: ভারতীয় দলে খেলেছেন বাবা, ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে টেস্ট ম্যাচে নামলেন ছেলে!]
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সৌরভ বলেন, "আমি যখন ভারতীয় দলে খেলতাম উনি তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বরাবরের খেলাপাগল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আমার সঙ্গে সবসময় খেলা সংক্রান্ত প্রশ্ন করতেন, কথা হত। আমার টেস্ট অভিষেক হওয়ার পরে সম্পর্কটা আরও দৃঢ় হয়ে উঠেছিল।" প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের কথায়, "আজ এখানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। কারণ সব কিছুর উর্ধ্বে সম্পর্ক। ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।"
প্রসঙ্গত, এক দশকের বেশি সময় ধরে অসুস্থ থাকার পর গত ৮ আগস্ট প্রয়াত হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সৌরভ ঠিক করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শেষযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন। গত ৯ আগস্ট বিকেল সোয়া চারটে নাগাদ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শেষযাত্রায় শামিল হন তিনি। তখন রাজপথে অসংখ্য মানুষের ঢল। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে শেষবার দেখতে কলকাতার রাস্তায় কার্যত জনসমুদ্র। তার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই থমকে যায় সৌরভের গাড়ি। মিছিলের মধ্যে তাঁর গাড়ি বেশি দূর এগোতে পারেনি। কর্মরত পুলিশের সঙ্গে কথা বলে হাঁটা পথে বুদ্ধবাবুর শেষযাত্রায় পা মেলান তিনি। যত দূর এগোনো যায়, তত দূর পথ হাঁটেন সৌরভ। অবশেষে দূর থেকেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি। তবে স্মরণসভায় যোগ দিতে পেরে খুশি মহারাজ।