সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) সঙ্গে পিকের বৈঠকের পরদিনই জোরাল হচ্ছে জল্পনা। হ্যাঁ, গতকাল রাহুলের বাসভবনের ওই বৈঠকে সোনিয়াও ভারচুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। প্রায় ২ ঘণ্টা সোনিয়া এবং রাহুলদের সঙ্গে কথা হয় প্রশান্ত কিশোরের। তারপরই নাকি পিকের কাছে কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব এসেছে। এমনটাই দাবি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের। যদিও, এ বিষয়ে সরকারিভাবে কোনও তরফই মুখ খোলেনি।
প্রসঙ্গত, শরদ পওয়ার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে সাক্ষাতের পর গতকালই রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভোটকুশলী। মঙ্গলবার দুপুরে একপ্রকার আচমকাই প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে হাজির হন পিকে। রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। কংগ্রেস সূত্রের দাবি, ভারচুয়ালি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সোনিয়াও। ২ ঘণ্টার বৈঠকে কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে নিজের পরিকল্পনা এবং দাবি-দাওয়ার কথা জানিয়েছেন PK। বিহারের এই ভোটকুশলী চান, একেবারে ব্লকস্তর থেকে কংগ্রেসের সংগঠনে পরিবর্তন হোক। কংগ্রেস সভাপতিকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য ৯ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল তৈরি হোক।
[আরও পড়ুন: ২১ জুলাই এবার দিল্লিতেও পালিত হতে চলেছে তৃণমূলের ‘শহিদ দিবস’]
PK-রাহুলের (Rahul Gandhi) বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসার পর প্রথমে মনে করা হচ্ছিল চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে মহাজোটের সলতে পাকাতেই কংগ্রেস নেতাদের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। আরেকটা সূত্র আবার দাবি করছিল, পাঞ্জাবের আসন্ন নির্বাচন এবং উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে গান্ধীদের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন প্রশান্ত। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসের হয়ে কাজ করবেন। তবে, দলের বাইরে থেকে নয়। দলের সাংগঠনিক স্তরেই বড় কোনও পদ দেওয়া হবে তাঁকে। যদিও সরকারিভাবে, এ নিয়ে কোনওপক্ষই মুখ খোলেনি। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তরফে এ বিষয়ে প্রশান্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ।’ সচরাচর স্পষ্ট কথা বলা পিকের এই চোরাগোপ্তা মন্তব্য জল্পনা আরও বাড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেষবার প্রশান্ত কিশোর এবং রাহুল গান্ধী একসঙ্গে কাজ করেছিলেন ২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে। বলা বাহুল্য, সেই অভিজ্ঞতা কোনও শিবিরের জন্যই মধুর নয়। পিকের কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র ব্যর্থতার দাগ লেগেছে সেই উত্তরপ্রদেশেই।