দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৮৯/৪ (তাজমিন ৮১, মারিজান ৫৭, পূজা ২৩/২)
ভারত: ১৭৭/৪ (জেমাইমা ৫৩, স্মৃতি ৪৬, ডে ক্লের্ক ৩০/১)
১২ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপ্তাহ খানেক আগেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারতের ছেলেরা। সেই উৎসবের রেশ এখনও চলছে। এরই মাঝে একটি মাত্র টেস্টে প্রোটিয়াদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন শেফালী বর্মা-স্মৃতি মন্ধানারা। চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ছুটল না ভারতের মেয়েদের জয়রথ। হরমনপ্রীত কউররা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেলেন ১২ রানে।
এদিন টসে জিতে প্রথম বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন্তু প্রথম থেকে প্রোটিয়ারা ব্যাটাররা চাপে রাখতে থাকেন রেণুকা সিংদের। অধিনায়ক উলভার্ডটকে ৩৩ রানের মাথায় রাধা যাদব ফিরিয়ে দিলেও রানের গতি থামেনি। বরং দ্বিতীয় উইকেট পড়ল ১৪৬ রানে। ৫৬ বলে ৮১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে যান প্রোটিয়া ওপেনার তাজমিন ব্রিটস। যোগ্যসঙ্গত করেন মারিজান কাপ। অন্যদিকে একের পর এক ক্যাচ ফেলে তাঁদের আরও সুবিধাই করে দেন রিচা ঘোষরা। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে একমাত্র পূজা বস্ত্রকরই লড়াই চালালেন। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে তুলে নিলেন ২ উইকেট। তাছাড়া দীপ্তি শর্মা থেকে রাধা যাদব, প্রত্যেকেরই ইকোনমি রেট ১০-র উপরে। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ১৮৯ রানে।
[আরও পড়ুন: ‘যদি ও ক্যাচটা না ধরত…’ মহারাষ্ট্রের বিধানভবনের সংবর্ধনা মঞ্চেই সূর্যকে ‘হুমকি’ রোহিতের]
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পালটা ফিরিয়ে দেন শেফালী আর স্মৃতি। কিছুদিন আগে টেস্টে রেকর্ড গড়েছিল তাঁদের জুটি। এদিন যেন সেখান থেকেই ফের ম্যাচ শুরু করলেন। শুধু টেস্টের গিয়ার বদলে চলে এলেন টি-টোয়েন্টির গতিতে। শেফালী যদিও থেমে গেলেন ১৮ রানে। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হল স্মৃতি মন্ধানার। ৩০ বলে ৪৬ রান করে তিনি ফিরে যেতেই রানের গতি কমে গেল। তার পরই ফিরে গেলেন হেমলতাও। সেখান থেকে ভারতকে ম্যাচে ফেরাতে চেষ্টা করেছিল হরমনপ্রীত কউর (৪৬) আর জেমাইমা রড্রিগেজের (৫৩) জুটি।
[আরও পড়ুন: রাজস্থান এফসি-র মালিকানার দায়িত্বে শ্রাচী স্পোর্টস, আসতে পারেন পর্তুগিজ কোচ]
কিন্তু তাঁরা যখন রানের গতি বাড়াতে শুরু করলেন ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। আঁটসাঁট বোলিং করে জেমাইমা-হরমনপ্রীতদের আটকে রাখলেন প্রোটিয়া বোলাররা। শেষ পর্যন্ত ভারতের মেয়েরা হারল ১২ রানে। তিনটি টি-টোয়েন্টির সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।