নেদারল্যান্ডস: (সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট ৪০, ভ্যান বিক ২৩, ব্রাটমান ১১/৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা: (ত্রিস্তান স্টাবস ৩৩, ডেভিড মিলার ৫৯, ভিভিয়ান কিংমা ১২/২)
৪ উইকেটে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার অভিজ্ঞ পাকিস্তানকে ২২ গজের মাটিতে নাকের জলে, চোখের জলে অবস্থা করে ছেড়েছিল 'নবাগত' আমেরিকা। এবার বিশ্বকাপের ময়দানে বিপর্যয় না ঘটলেও প্রোটিয়াদের নাকানি-চোবানি খাইয়ে ছাড়ল নেদারল্যান্ডস। মাত্র ১২ রানে ডিকক, হেন্ড্রিক্স, মার্করাম, ক্লাসেনের মতো ৪ দিকপাল ক্রিকেটারকে ধরাশায়ী করে বিশ্বকাপের বাইশগজে সদর্পে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিল 'অখ্যাত' নেদারল্যান্ডস। যদিও শেষ পর্যন্ত ত্রিস্তান স্টাবস ও ডেভিড মিলারের দাপটে জয়ের আশায় দাঁড়ি পড়ল তাদের। অন্যদিকে, বিশ্ব ময়দানে পর পর দুই ম্যাচ জয়ের পর 'চোকার্স' তকমা ঘোচানোর স্বপ্ন দেখতে শুরু করল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন টসে জিতে শুরুতেই বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যাপ্টেন মার্করাম। জেনসন, নরটজে, ব্রাটমানের মতো বোলারদের সামনে সেভাবে দাঁড়াতেই পারেননি নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা। শুধুমাত্র সাইব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখট (৪০) ও ভ্যান বিক (২৩) এই দুজনের রানের দৌলতে কোনওমতে ৯ উইকেট খুইয়ে ১০৩ রানের টার্গেট খাঁড়া করতে পারে নেদারল্যান্ডস। অনুমান করা হচ্ছিল, দক্ষিণ আফ্রিকার দাপুটে ব্যাটারদের সামনে মুহূর্তে ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে নেদারল্যান্ডসের রানের 'ঢিপি'। তবে বিশ্বমঞ্চে দুর্গম পাহাড় ডিঙানো প্রোটিয়াদের সেই 'ঢিপি' পার হতেই কার্যত কালঘাম ছুটে যায়।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন ডিকক। ১০ বল খেলে মাত্র ৩ রানে বোল্ড আউট হন হেন্ড্রিক। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম অর্ডারে কার্যত ভাঙন ধরায় নেদারল্যান্ডস। শূন্য রানে আউট হন মার্করাম ও মাত্র ৪ রানে ক্লাসেন। স্কোরবোর্ডে তখন ১২ রানে ৪ উইকেট, ৪ ওভার ৩ বল। এই পরিস্থিতিতে দলের ত্রাতা হিসেবে মাঠে নামেন স্টাবস ও মিলার। এই জুটির সৌজন্যে খাদের মুখ থেকে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৭ বলে ৩৩ রান করেন স্টাবস ও ৫১ বলে ৫৯ রান করে নট আউট মিলার। নেদারল্যান্ডসের ভিভিয়ান কিংমা ও ভান বিক ২ টি করে উইকেট পান। পাশাপাশি দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রাটমান পান ৪ টি উইকেট। জেনসন ও নরখিয়ে পান ২ টি করে উইকেট। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা