সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যালেন্ডার বলছে শরৎকাল। দুর্গাপুজোর হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন বাকি। এই সময় থেকেই ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে আবহাওয়া। কিন্তু এবছর শরতে দক্ষিণবঙ্গে বানভাসি, আর উত্তরে রীতিমতো হাঁসফাঁস দশা। দার্জিলিংয়ের অবস্থাও একই। ৩০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপমাত্রা। ঠান্ডার আমেজ পেতে দার্জিলিংয়ে পাড়ি দেওয়া বাঙালি দিনেরবেলা হোটেলেই নিজেদের বন্দি করে ফেলছেন। কেউ আবার আগেভাগেই ফিরে আসছেন। আর পাহাড়বাসীরা? তাঁরা ছুটছেন ফ্যান, এসি কিনতে।
ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে পছন্দের ডেস্টিনেশনগুলোর মধ্যে প্রথমেই থাকে দার্জিলিং। দক্ষিণবঙ্গের গরম থেকে কয়েকদিনের ছুটি পেতে অনেকেই হাজির হন সেখানে। সেপ্টেম্বরে খাতায় কলমে অফ সিজন হলেও পর্যটকের ভিড় থাকেই। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। তবে আবহাওয়া দাপটে এবার পাহাড়ে গিয়েও গরমে নাজেহাল বাঙালি। সেখানকার বাসিন্দারাদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। সিকিম আবহাওয়া দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযাযায়ী, সোমবার দুপুরে দার্জিলিংয়ের তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রির আশেপাশে। সংলগ্ন এলাকাগুলোর তাপমাত্রাও উর্ধ্বমুখী। যা ৩০ বছরের রেকর্ডের ভেঙে দিয়েছে। আবহাওয়াবিদের কথায়, নব্বইয়ের দশকের পর এত গরম দেখা যায়নি পাহাড়ে।
দার্জিলিংয়ের ম্যাল ও সংলগ্ন এলাকার পারদ চড়চড় করে বাড়লেও অফবিট দার্জিলিং অর্থাৎ গ্রামগুলোর আবহাওয়া তুলনামূলক ভালো। প্রবল ঠান্ডা না হলেও তাপমাত্রা রয়েছে স্বাভাবিক। কেন দার্জিলিংয়ের এই অবস্থা? পর্যটকদের একাংশের দাবি, ধীরে ধীরে কংক্রিটের জঙ্গলে পরিণত হচ্ছে সকলের প্রিয় দার্জিলিং শহর। সেই কারণেই এই পরিণতি। গ্রামগুলো ফাঁকা থাকায় আবহাওয়া মনোরম। তবে শুধু দার্জিলিং নয়, উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলোতেও রীতিমতো চোখ রাঙাচ্ছে তাপমাত্রা। দিনেরবেলা ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে উঠছে বাসিন্দাদের জন্য। উল্লেখ্য, আবহাওয়া দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড়ে। তাতে নামতে পারে তাপমাত্রা। ফিরতে পারে স্বস্তি।