রাজা দাস, বালুরঘাট: বিয়ের পর অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন স্ত্রী। পালিয়ে গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গেই থাকছিলেন। ঘরছাড়া স্ত্রীকে প্রেমিকের হাতেই তুলে দিলেন স্বামী। সালিশি সভায় দাঁড়িয়ে প্রেমিকের সঙ্গেই স্ত্রীর বিয়ে দিলেন তিনি। ঘটনার সাক্ষী থাকলেন বালুরঘাটের মাঝিগ্রাম এলাকার বাসিন্দারা।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের চকদুর্গার বাসিন্দা শ্রীমন্ত বর্মন। তাঁর বিয়ে হয়েছিল ববিতার সঙ্গে। সব কিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু আচমকা স্ত্রীর ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ করেন শ্রীমন্ত। তাঁর কথাবার্তায় অসংগতিও দেখা যায়। ফোনে প্রচুর কথা বলতেন ববিতা। নানা বিষয়ে অশান্তি লেগে থাকত। তা থেকেই স্ত্রীর প্রেমের বিষয়টি আঁচ করেছিলেন বলে জানান শ্রীমন্ত।
[আরও পড়ুন: গলায় ফুলের মালা, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে সিঁদুর, বর্ধমানের হোটেল থেকে যুগলের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য]
পরে জানা যায়, মাঝিগ্রামের বাসিন্দা পরীক্ষিত দেবনাথের প্রেমে পড়েছেন ববিতা। তাঁর সঙ্গে পালিয়েই মাঝিগ্রামে চলে আসেন তিনি। সেখানে পরীক্ষিতের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন। তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। শেষে মাঝিগ্রাম নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের মাঠে সালিশি সভা বসে। শুরু হয় বিচার। অনেক তর্ক-বিতর্ক. অলোচনা-পর্যালোচনা, উত্তপ্ত বাক্য বিনিমিয়ের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নতুন বর্মন জানান, প্রেমিকের সঙ্গেই সংসার করতে চাইছিলেন ববিতা। তাঁর এই ইচ্ছেয় সায় রয়েছে পরীক্ষিতের। আবার স্বামী শ্রীমন্ত স্পষ্ট জানিয়ে দেন ববিতার সঙ্গে তিনি আর থাকতে চান না। সুতরাং প্রেমিক যুগলের বিয়েতে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। একপ্রকার নিজে হাতে ববিতাকে পরীক্ষিতের হাতে তুলে দেন শ্রীমন্ত। লিখিতভাবে স্ত্রীর বিয়েতে সায় দেন তিনি। তবে সরকারিভাবে এখনই শ্রীমন্তকে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি ববিতা। তাই আপাতত সামাজিকভাবেই তাঁর ও পরীক্ষিতের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পঞ্চায়েত প্রধান নতুন বর্মন। এমন ঘটনার সাক্ষী থাকলেন মাঝিগ্রামের বাসিন্দারা।