সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের সুযোগে রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। প্রায় হাজারের উপর সামরিক অস্ত্র বোঝাই কন্টেনার পিয়ংইয়ং থেকে গিয়েছে মস্কোতে। কয়েকদিন আগে এমনটাই জানিয়েছিল হোয়াইট হাউস। এবার ওয়াশিংটনের এই বক্তব্যে সম্মতি জানাল জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। রাশিয়াকে সামরিক সাহায্য করা নিয়ে আমেরিকার পাশাপাশি কড়া ভাষায় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের নিন্দা করল সিউল ও টোকিও। যৌথ বিবৃতি দিয়ে এই জোটের তরফে বলা হয়, এটা নিশ্চিত বহু যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) ও জাপান (Japan) এই তিন দেশের বিদেশ সচিবদের পক্ষ থেকে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, “আমরা নিশ্চিত উত্তর কোরিয়ার তরফে যা যা অস্ত্রশস্ত্র রাশিয়াকে পাঠানোর কথা ছিল তার মধ্যে বেশ কয়েকটি সরবরাহ করা হয়ে গিয়েছে। এই অস্ত্রগুলো মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করবে। ফলে রুশ আগ্রাসানে মানুষের হতাহতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। পিয়ংইয়ং রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে যার বদলে তারাও রুশ প্রশাসনের থেকে সামরিক সহযোগিতা পেতে পারে। এইভাবে উত্তর কোরিয়া নিজেদেরকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে চাইছে। গোটা পরিস্থিতির উপর আমরা তীক্ষ্ণ নজর রাখছি।”
[আরও পড়ুন: ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত ‘ভালো লক্ষণ’, সংঘাতের মাঝেই ভারতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাল কানাডা]
বলে রাখা ভালো, কয়েকদিন আগেই হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, আমেরিকার (US) বিশ্বাস উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন রাশিয়ার অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র তৈরির প্রযুক্তির নাগাল পেতে চাইছেন। তাই মস্কোকে সাহায্য করে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ও পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনকে শক্তিশালী করাই তাঁর উদ্দেশ্য। কিমের থেকে পাওয়া এই অস্ত্রগুলোই রাশিয়া যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। এবিষয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অস্ত্র বোঝাই কন্টেনারগুলো রাশিয়ার (Russia) জাহাজে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে রুশ সফরে গিয়েছিলেন কিম (Kim Jong Un)। বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে। যুদ্ধের ময়দানে মস্কোকে নিঃশর্তভাবে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধ আবহে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হতে পারে। এর আগেও কিমের দেশের বিরুদ্ধে ক্রেমলিনকে অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিল ওয়াশিংটন।