অর্ণব দাস, বারাকপুর: হাসপাতালের অন্দরের চক্রান্তের শিকার হয়েছেন আর জি করের তরুণী চিকিৎসক! রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেই চক্রান্তের শিঁকড় খুঁজে বের করতে হবে সিবিআইকে, এই দাবি করলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তাঁর এহেন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন খড়দহ বিবেক মঞ্চের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষরা। সেখানেই মন্ত্রী তথা খড়দহের বিধায়ক শোভনদেব বলেন,"আমি মনে করি, বড় চক্রান্তের শিকার হয়েছেন তরুণী চিকিৎসক। সেই চক্রান্ত তৈরি হয়েছিল হাসপাতালের অন্দরেই। আমরা চাই সিবিআই দৃঢ়তার সঙ্গে এটা খুঁজে বার করুক।" ঘটনার সঙ্গে এক নাকি একাধিক ব্য়ক্তি যুক্ত কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটা নিয়ে এদিন রাজ্যের শাসকদলের মন্ত্রীর সংযোজন, "নারকীয় এই ঘটনা একজন না অধিকজন করেছে সেটা পরিষ্কার নয়। অনেকের ধারণা অনেক বেশি লোক এর সঙ্গে জড়িত। দ্রুত এর কিনারা করে দোষীদের চরম শাস্তি দেওয়া হোক।" একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হওয়া ধর্ষণের রুখতে কড়া আইন প্রণয়ন দাবি জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: কাঠ কুড়োতে গিয়ে গণধর্ষণ-খুনের শিকার বধূ! বিষ্ণুপুরের জঙ্গল উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ]
এদিন তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ তড়িঘড়ি দাহ করার বিতর্ক উড়িয়ে দিলেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ। তাঁর দাবি, মা বাবার উপস্থিতি এবং সম্মতিতে সরকারি নিয়ম মেনেই মৃতার দেহ দাহ করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের পর বাড়ি ফিরলে তড়িঘড়ি পানিহাটি শ্মশানে দাহ করার অভিযোগ উঠেছিল। বিজেপির ঘোলা থানা ঘেরাওয়ে এসে এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তারই জবাব দেন নির্মল ঘোষ। এদিনই সাংসদ সৌগত রায় সিবিআইয়ের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, "গত ১৩ তারিখ সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে। তাদের আধুনিক ক্রাইম ডিটেক্ট করার যন্ত্রাংশ আছে। তবুও তারা এখনও কিছু করতে পারেনি। তারা খুঁজে বার করুক দোষীদের, বা বলে দিক একজনই জড়িত ছিল। সবাই অধৈর্য হয়ে যাচ্ছে। মৃতার মাও একথা বলছেন।"