স্টাফ রিপোর্টার : সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে অভিযানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় ইডি কর্তাদের। বাহিনীর উপর হামলার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান-অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন ইডি অফিসার আহত হন। তা নিয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়(Sovandeb Chattopadhyay) বলেন, “বাংলার একটা জায়গায় জনবিস্ফোরণ হয়েছে। এবার সারা দেশে জনবিস্ফোরণ হবে।” যা নিয়ে নানা মহলে প্রতিক্রিয়া। যার ব্যাখ্যা মঙ্গলবার দেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর কথায়, “শোভনদেববাবু যা বলেছেন সেটা বাংলার মানুষের চিন্তাভাবনার প্রতিফলনের কথা বলেছেন, যা নির্বাচনে দেশজুড়ে হতে চলেছে। কোনও হিংসাত্মক কথা বলেননি।”
কৃষিমন্ত্রীকে শেখ শাহজাহান প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ বলেন, “এরপর ইডি-সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি তদন্তে এলেই জনবিস্ফোরণ হবে। এখন তো সবে একটা জায়গায় হয়েছে। এরপর সারা বাংলাজুড়ে জনবিস্ফোরণ এবং ভারতের যে সকল রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় নেই সেখানে হবে। যেখানে বিজেপি সরকারে আছে সেখানে ইডি দুর্নীতি দেখতে পাচ্ছে না। শুধু ইডি বলেই নয়, যে যাবে সেখানে তাতেই জনবিস্ফোরণ হবে।
[আরও পড়ুন: ‘নেতা ও পুলিশের সাহায্যে পালিয়েছেন শাহজাহান’, অবিলম্বে গ্রেপ্তারির নির্দেশ রাজ্যপালের]
শাহজাহান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আদানি-অাম্বানির নাম টেনে এনেছেন কৃষিমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “শেখ শাহজাহান নেই তো কী হয়েছে! তার দাদু আছে। আদানি, আম্বানি আছে। ক্যাগ রিপোর্ট বলছে, মোদি সরকারের আমলে কেন্দ্রে ৫.৭ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। তার কাছে শাহজাহান কে? শাহজাহান ধোপে টেকে?” এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, এসব জিজ্ঞাসা না করে বরং জিজ্ঞাসা করুন কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকার দুর্নীতি করেছে। শাহজাহান-কাণ্ডে তদন্তের প্রশ্নে মন্ত্রীর বক্তব্য, “আইন আইনের মতো চলবে।”
যদিও ‘জনবিস্ফোরণ’ মন্তব্যে মন্ত্রীকে বিজেপি কটাক্ষ করতে শুরু করেছে। পালটা তোপ দেগে বিজেপিকে জবাব দেন তৃণমূল মুখপাত্র।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে মহম্মদ শামি, মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দিলেন টিম ইন্ডিয়ার পেসার]
তাঁর কথায়, “ইডি-সিবিআইয়ের যে বিশ্বাসযোগ্যতা ছিল সেটা ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে এই এজেন্সির কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। বিজেপিই সেটা করে দিয়েছে। শোভনদেববাবু যেটা বলেছেন, তা হল এবারও যদি বিজেপি নেতাদের ছাড় দিয়ে বেছে বেছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শুধু তৃণমূল নেতাদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই ধরনের দৃশে্যর অবতারণা করা হয় তাতে বাংলার মানুষের মধ্যে একটা জনজাগরণ ঘটবে।” কুণালের বক্তব্য, “সেই জনজাগরণই ভোটের রাজনীতিতে বিজেপিকে ধুয়েমুছে সাফ করে দেবে। এর সঙ্গে হামলা বা হিংসার কোনও সম্পর্ক নেই।”