shono
Advertisement

অনাথ জীবনে আলো, বাংলার শিশুকে দত্তক নিয়ে পরিবার ফিরিয়ে দিলেন স্প্যানিশ মহিলা

হিলি থেকে নতুন মায়ের হাত ধরে শিশু পাড়ি দেবে স্পেনের বার্সেলোনায়।
Posted: 09:30 PM Mar 05, 2022Updated: 09:30 PM Mar 05, 2022

রাজা দাস, বালুরঘাট: ভারতের সঙ্গে স্পেনের যোগসূত্র আরও দৃঢ় করে দিল বাংলার (West Bengal) ছোট্ট ছেলে। মাতৃস্নেহে তিন বছরের শিশুকে কোলে তুলে নিলেন স্প্যানিশ মহিলা। শনিবার সূদুর স্পেন থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির (Hili) তিওরে এসে শিশুপুত্রকে দত্তক নিলেন স্পেনের কোরিওগ্রাফার। সরকারি হোমে থাকা অনাথ শিশু এতদিনে পেল পরিবার।

Advertisement

শনিবার সব নিয়মকানুনের মধ্যে দিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে ওই মহিলার হাতে বছর তিনের বাচ্চাটিকে তুলে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, স্পেনের (Spain) বার্সালোনার বাসিন্দা ভেরোনিকা সেন্ডোয়া সিরা বেশ কয়েকবার কর্মসূত্রে ভারতে এসে পশ্চিমবঙ্গে ঘুরেছেন। বাংলার সংস্কৃতিতে তিনি আপ্লুত ছিলেন। এরপরেই ঠিক করেন, এই রাজ্য থেকে এক শিশু দত্তক নিয়ে লালনপালন করে বড় করে তুলবেন।

[আরও পড়ুন: দাম্পত্য অশান্তির জের, ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ধর্ষণ করানোর পর স্ত্রীকে খুন! গ্রেপ্তার স্বামী]

চার বছর আগে কেন্দ্রীয় সরকারের নিদিষ্ট পোর্টালে আবেদন করেছিলেন পেশায় কোরিওগ্রাফার ভেরোনিকা। তবে সেসময় করোনার (Coronavirus) জন্য প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। অবশেষে ২০২১ সালে প্রক্রিয়া ফের চালু হতেই তিনি ফের সেই পোর্টালে গিয়ে আবেদন করেন। সেখান থেকে এ রাজ্যের একাধিক শিশু সম্পর্কে বিশদে সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখেন। অবশেষে হিলি থানার তিওর নওপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির অধীনে থাকা হোমের এক শিশুকে পছন্দ হয় তাঁর।

[আরও পড়ুন: ‘সন্ত্রাস-সন্ত্রাস করলে হবে না, দুর্বলতা মানতে হবে’, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বকে বার্তা লকেটের]

তাকেই দত্তক নেবার সমস্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন ভেরোনিকা। নিয়ম মেনে এদিন ওই পুত্রসন্তানকে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন তাঁর চার দিদি-বোন। বাচ্চাটিকে দত্তক পাওয়ার পরেই আবেগে এদিন কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। এদিন হোমে প্রায় উৎসবের মেজাজ। একদিকে, তিন বছর পর এক শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার বেদনা, অন্যদিকে, অনাথ জীবনের যন্ত্রণা মুছে নতুন আলোর পথে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দ – দুয়ের মিশেলে সে এক অনন্য অনুভূতি।

দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক আয়েশা রানি বলেন, ”এক অনাথ শিশু পরিবার ও অভিভাবক পেল। সমাজকল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বাচ্চাটিকে আমরা এক মায়ের কোলে তুলে দিতে পারলাম। আরও অনেকে  যাতে এভাবে অনাথ শিশুদের দত্তক নিতে আগ্রহী হন, সেই বার্তা রইল আমাদের তরফে।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement