অর্ণব দাস, বারাসত: নাবালিকাকে অপহরণ করে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুম্বইয়ে। তার পর চলে লাগাতার যৌন নির্যাতন। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলা এলাকার এই মামলায় পকসো আইনে দোষীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল বারাসত আদালত। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘোলার বাসিন্দা সাজাপ্রাপ্ত আসামি অসীম মণ্ডল। পেশায় রাজমিস্ত্রি। ঘটনা ২০১৫ সালের মার্চ মাসের। সেসময় দত্তপুকুরের একটি বাড়িতে কাজে গিয়েছিল অসীম। ৭ মার্চ ওই এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার পথে পানীয় জলে মাদক মিশিয়ে অচেতন করে অসীম অপহরণ করে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ১০মার্চ দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। অতি দ্রুত তদন্ত নেমে এই ঘটনার মাস খানেক পরে মুম্বই থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় নাবালিকাকে।
এর পর পুলিশ জানতে পারে, অপহরণের পর অভিযুক্ত অসীম নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করেছিল। তাকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে দেখিয়ে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে এই মামলা চলছিল। ১২ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসত স্পেশাল পকসো আদালত। শুক্রবার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক সুস্মিতা মুখোপাধ্যায়।
সরকারি আইনজীবী গৌতম সরকার জানান, দোষীকে অপহরণের ধারায় ৭ বছর কারাদণ্ড-সহ ৫ হাজার টাকার জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ড। পাচারের উদ্দেশ্যে নাবালিকাকে অপহরণ করে লুকিয়ে রাখার ধারায় ১০বছর কারাদণ্ড ও সেইসঙ্গে ১০হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত ১বছরের কারাদণ্ড এবং পকসো মামলায় ১০বছর কারাদণ্ডের সহ ২ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে আরও একবছর জেল হবে। সবকটি সাজাই একসঙ্গে চলবে বলে জানিয়েছেন বিচারক