নন্দন দত্ত, সিউড়ি: হিসাবে তৃতীয়া, ক্ষণে চতুর্দশী। তাই তিথি মেনে শুক্রবার তারাপীঠে পালিত হল তারা মায়ের আবির্ভাব দিবস। এদিন তারাপীঠে উপচে পড়ল ভিড়। এই একটি মাত্র দিনে মা তারাকে গর্ভগৃহের বাইরে বিরাম মঞ্চে নিয়ে আসা হয়। মাকে চোখের সামনে দেখতে ভোর থেকেই ভক্ত সমাগম।
শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে মা তারার আবির্ভাব। ছোট বোন মলুটির মা মৌলীক্ষার সঙ্গে মা তারা মন্দিরের বাইরে এসে দেখা করেন। তাই উত্তর বাহিনী তারামাকে পশ্চিম মুখে বিরাম মঞ্চে মলুটির দিকে মুখ করে বসানো হয়। সূর্যোদয়ের পর তারামাকে জীবিত কুণ্ডের জল দিয়ে স্নান করান হয়। উল্লেখ্য, জয় দত্ত বণিক দ্বারকা নদ বেয়ে বাণিজ্যে যাচ্ছিলেন। তারাপীঠে তাঁরা নোঙর করেন।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ জ্যোতিপ্রিয়, শুনানি চলাকালীন ব্যাঙ্কশাল আদালতে হারালেন জ্ঞান]
সেখানেই তার ছেলের সর্পদংশনে মৃত্যু হয়। এদিকে তারই দলের কিছু লোক পাশের একটি পুকুরে কাটা শোল মাছ ধুতে গিয়ে দেখেন সেটি জীবিত হয়ে গিয়েছে। জয়দত্ত সেই কথা শুনে ওই পুকুরের ঐশ্বরিক ক্ষমতার কথা ভেবে ছেলেকে স্নান করান। ছেলেও প্রাণ ফিরে পায়। জয় তারা বলে ছেলে বেঁচে ওঠে। সেই দিনটি এদিন।
সেদিন থেকেই তারাপীঠে আবির্ভূত হতেন তারা মা। এদিন তারামাকে রাজবেশ পড়ান হয়েছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত মাকে গর্ভগৃহের বাইরে রেখে ফের স্বস্থানে ফিরিয়ে আনা হয়। রীতি অনুযায়ী, এদিন মায়ের কোনও অন্ন ভোগ হয় না। ফলাহারে থাকেন মা। যেহেতু মা উপবাসে থাকেন তাই সেবাইতরাও উপবাস পালন করেন। সন্ধ্যায় মা গর্ভগৃহে ফিরলে ফের তাঁকে স্নান করানো হয়। রাতে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁচরকম ভাজা, মাছ, মাংস দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। এই প্রসাদ খেয়েই সেবাইতরা উপবাস ভাঙেন।
দেখুন ভিডিও: