সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুরির গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিন জন। সেই সময় তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তার পরেও পালাতে গেলে পুলিশ গুলিতে মৃত্যু হয় এক তরুণের! এই ঘটনা ফ্রান্সের। গত বছরও একই ঘটনা ঘটেছিল কবিতার দেশে। ট্রাফিক সিগন্যাল ভেঙে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় নাহেল এম নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাবালকের। যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। ফের এই ধরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে সেদেশের মানুষের মধ্যে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রবিবার পশ্চিম ফ্রান্সের চেরবুর্গ প্রদেশে এই ঘটনাটি ঘটে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিয়েরে-ইভেস মারোট এক বিবৃতিতে জানান, পুলিশের কাছে খবর ছিল একটি চুরির গাড়িতে তিনজন পালাচ্ছিলেন। তাঁদের দুটি পুলিশের গাড়ি ধাওয়া করেছিল। প্রথমে ওই গাড়ির চালককে থামতে বললেও তিনি থামেননি। দ্রুত গতিতে গাড়িটি চালিয়ে চলে যান। এর পর খানিক দূরে পুলিশের আরেকটি গাড়ি তাঁদেরকে থামায়। দুজনকে আটকানো গেলেও উনিশ বছরের ওই যুবক পুলিশ হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখনই তাঁকে আটকাতে গুলি চালিয়ে দেন এক অফিসার।
[আরও পড়ুন: ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠক নেতানিয়াহুর, রাষ্ট্রসংঘে পাস আমেরিকার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব]
এর পর ওই তরুণের মৃত্যু হলে সোমবার অভিযুক্ত অফিসারকে আটক করে ফরাসি পুলিশ। এখনও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে ফ্রান্সে এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণহানি ঘটেছে সন্দেহভাজনের। যা নিয়ে বহু বিক্ষোভ-প্রতিবাদ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের নঁতের অঞ্চলে ট্রাফিক আইন অমান্য করায় ১৭ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ নাবালক নাহেলকে গুলি করে পুলিশ। সে পালানোর চেষ্টা করলে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে গুলি করেন এক পুলিশকর্মী, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। এর পরই উত্তাল হয়ে ওঠে ফ্রান্স। অগ্নিগর্ভ রূপ নেয় বহু জায়গা। ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু সরকারী সম্পত্তি।