shono
Advertisement

নিরিবিলি ছুটির খোঁজে গন্তব্য কুমারী স্লামথাং

স্লামথাংকে আবিষ্কার করতে হয় পায়ে হেঁটে। ঘোরাঘুরির জন্য গাড়িও পাবেন, তবে তাতে যাত্রাপথের নিসর্গশোভা ফুরিয়ে যাবে দেখতে দেখতে। The post নিরিবিলি ছুটির খোঁজে গন্তব্য কুমারী স্লামথাং appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 08:14 PM Jul 07, 2016Updated: 01:49 PM May 11, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জায়গা হিসেবে মোটেই ছোটখাটো নয় সে। তার পরেও সিকিম বলতে কেবল হাতে গোনা কয়েকটা জায়গার নামই কেন মাথায় আসে?
সেই সব কূটকচালি দূরে রেখেও বলা যায়, সিকিমের অনেক কিছুই এখনও আমাদের দেখা বাকি! যেখানে এখনও সে ভাবে পর্যটকের পা পড়েনি, সেরকম অনেক জায়গা কুয়াশায় মুড়ে হাতছানি দিচ্ছে সিকিম।
সেই সবের মধ্যে চোখ রাখা যাক দক্ষিণ সিকিমে। স্লামথাং নামের এক পাহাড়ি উপত্যকায়!

Advertisement


ভাল করে দেখুন, চোখে পড়বে এক সবুজে মোড়া পাহাড়। সে তার কোলে মাথা গোঁজার আশ্রয় নিয়ে অপেক্ষা করছে আপনার জন্য।
স্লামথাং এখনও সে ভাবে পর্যটন মানচিত্রে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। সেই জন্যই একটা নিরিবিলি ছুটি কাটাতে এর জুড়ি মেলা ভার!


এখন পর্যটন মানচিত্রে সে ভাবে জনপ্রিয় নয় বলে স্লামথাঙে যে কিছু দেখার নেই- এমনটা কিন্তু আদপেই নয়! সব চেয়ে মজার ব্যাপার, স্লামথাংকে আবিষ্কার করতে হয় পায়ে হেঁটে। ঘোরাঘুরির জন্য গাড়িও পাবেন, তবে তাতে যাত্রাপথের নিসর্গশোভা ফুরিয়ে যাবে দেখতে দেখতে।


কিন্তু কী দেখবেন?
স্লামথাঙের প্রথম দ্রষ্টব্য হতে পারে ১৬০ বছরের পুরনো এক কুটির। বাঁশ, ঘাস আর গাছের ডালে তৈরি এই কুটির সগর্বে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাহাড়ের ঢালে। এখানে একটু বিশ্রাম নিন। উপভোগ করুন পার্বত্যবাসের নির্মাণশৈলী।
তার পর?


পায়ে পায়ে এগিয়ে চলুন স্লামথাংকে চিনতে। আপনার গন্তব্য হোক বান জাখরি গিরিকন্দর। জানা যায়, এই গুহায় আগে থাকত সিকিমের ওঝারা! সিকিমের ভাষায় তাদের বলা হয় জাখরি। আর, বান মানে গুহা। তা বলে ভাববেন না, ভূতের ওঝার গুহা মানেই খুব ভয়ঙ্কর কিছু! বরং, সবুজে মোড়া পাহাড়ের কোলে এই গুহার সৌন্দর্য আপনার মন ভরিয়ে দেবে।


সেখান থেকে হাঁটা দেওয়া যায় আরেকটু উপরের দিকে- দারার দিকে! সিকিমের ভাষায় দারা মানে পাহাড়চূড়া। স্লামথাঙের ধারে-কাছে বেশ অনেকগুলো এমন ছোট ছোট চূড়া আছে। যেখানে হেঁটে উঠতে একটুও কষ্ট হবে না। বরং, উঠলে দেখতে পাবেন, আপনার পায়ের নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। আর, সামনে আকাশের বুকে মাথা তুলে স্বাগত জানাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
সেরকমই এক পাহাড়চূড়ার নাম হারে দারা। এই হারে দারা স্লামথাঙের মানুষের কাছে খুব পবিত্র। লোকবিশ্বাস, হারে দারায় এসে নববিবাহিত দম্পতি যদি কিছু প্রার্থনা করেন, তবে তাঁদের কামনা পূর্ণ হয়। এছাড়াও রয়েছে দেওরালি দারা, তারে ভির নামে আরও পাহাড়চূড়া! প্রত্যেকটি সৌন্দর্যে হার মানায় প্রত্যেকটিকে!


যদি মনে হয়, শুধুমাত্র স্লামথাঙেই আটকে থাকবেন না, তাহলে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে চলে যেতে পারেন রাবাংলা। যেতে পারেন চার ধাম। চার ধামে শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ এবং সেই সব মন্দিরের প্রতিমূর্তি রয়েছে। রয়েছে এক বিশাল শিবমূর্তিও। পাহাড়ের কোলে মহাধ্যানীর এই অনির্বচনীয় রূপ আপনার ছুটিকে করে তুলবে পুণ্যময়।
আবার, রাবাংলায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি দেখা পাবেন বিশালাকৃতি ধ্যানী বুদ্ধের। স্লামথাঙে তেমনই রয়েছে আকাশছোঁওয়া গুরু পদ্মসম্ভবের মূর্তি। সারা সিকিম যাঁকে নিজেদের রক্ষাকর্তা বলে মনে করে। এই ঐশ্বরিক সান্নিধ্যও স্লামথাঙের ছুটিকে করে তুলবে মনোরম।
কী ভাবে যাবেন: প্রথম গন্তব্য নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন। সেখান থেকে ঘণ্টা তিনেক ভাড়ার গাড়িতে চলে আসুন স্লামথাঙে।
কখন যাবেন: মে, জুন মাস স্লামথাং ভ্রমণের আদর্শ সময়। পরে বৃষ্টি নেমে গিয়ে ঘন কুয়াশা আর মেঘে মুখ ঢাকে স্লামথাং। অবশ্য, পাহাড়ে বৃষ্টি পছন্দ হলে বর্ষাকালেই যান। সেক্ষেত্রে এক স্বর্গীয় রূপ নিয়ে আপনার সামনে ধরা দেবে এই উপত্যকা।
কোথায় থাকবেন: স্লামথাং হোম-স্টে! এটাই স্লামথাঙে থাকার একমাত্র জায়গা।

The post নিরিবিলি ছুটির খোঁজে গন্তব্য কুমারী স্লামথাং appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement