দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: কোনও কথাই নাকি শোনেন না স্ত্রী। সারাদিন ব্যস্ত থাকে মোবাইলেই। প্রতিবাদ করায় ভয়ংকর পরিণতি স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে ক্যানিং থানার অন্তর্গত গোপালপুর পঞ্চায়েতের গলাডহরা গ্রামের মানিক নস্কর পাড়া এলাকায়।
বিষয়টা ঠিক কী? স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাতবছর আগে ক্যানিং থানার অন্তর্গত ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি ২ নম্বরের বাসিন্দা সদানন্দ পৈড়া’র সঙ্গে বিয়ে হয় গোপালপুর পঞ্চায়েতের গলাডহরা গ্রামের অষ্টমীর। দম্পতির এক তিনবছরের কন্যা রয়েছে। পরবর্তীতে পেশায় রাজমিস্ত্রী সদানন্দ শ্বশুরবাড়ি এলাকায় জায়গা কিনে বসবাস শুরু করে। অভিযোগ, প্রতিদিনই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হত। কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে, অষ্টমী নাকি একেবারেই স্বামীর কথা শোনেন না। প্রতিবাদ করলে স্বামীকে মারধর করে পুলিশে দেওয়ার হুমকি দেন।
[আরও পড়ুন: কাটমানি নিয়ে ভাইয়ের বিস্ফোরক অভিযোগ, সাংসদ দেবের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘাটালে]
একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গত রবিবার। ফোনে ব্যস্ত ছিলেন অষ্টমী। কার সঙ্গে কথা বলছে তা জানতে চেয়েছিলেন স্বামী। সেটাই কাল হল। অভিযোগ, স্রেফ প্রশ্ন করায় স্ত্রী, শ্যালক ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে যুবককে। এখানেই শেষ নয়। মারধরের পর যুবককে ফেলে আসে ফাঁকা মাঠে। প্রতিবেশীরা বিষয়টা জানতে পেরে খবর দেয় পুলিশে। গভীর রাতে অন্ধকার ফাঁকা মাঠ থেকে যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ। রাতেই তাকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। নির্যাতিতের স্ত্রী ও শ্যালককে আটক করেছে পুলিশ।