মোহনবাগান: ৩ (আনওয়ার ২, কামিন্স ১)
মাচিন্দ্রা এফসি: ১ (ওলাওয়ালে)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাড়ে চার বছর বাদে কলকাতা ডার্বিতে হার। ছন্দহীন ফুটবল। প্রথম দর্শনে জ্যাসন কামিন্স, আর্মান্দো সাদিকুদের ব্যর্থতা। একরাশ হতাশা গ্রাস করেছিল মোহনবাগান সমর্থকদের। সেই হতাশা অনেকটাই মিটিয়ে দিল বুধবারের যুবভারতী। নেপালের মাচিন্দ্রা এফসিকে উড়িয়ে দিয়ে AFC কাপের দক্ষিণাঞ্চলের বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছে গেল মোহনবাগান। নজর কাড়লেন সবুজ-মেরুনের অজি বিশ্বকাপার জ্যাসন কামিন্স।
সবুজ-মেরুন জার্সি গায়ে গোলের খাতা খুলে ফেললেন কামিন্স। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে একটা দুর্দান্ত থ্রু পাস থেকে গোলরক্ষককে ধরাশায়ী করে দিয়ে যেভাবে তিনি বিপক্ষের জালে বল জড়ালেন সেটা অনেক সবুজ-মেরুন সমর্থকের মনে আশা জাগাবে। তার আগেই অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। প্রথমার্ধে দুর্দান্ত হেডারে সবুজ-মেরুনকে এগিয়ে দিয়েছিলেন আনোয়ার আলি। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ভাসানো বলে দুর্দান্ত হেডারে গোল করেন মোহনবাগানের নতুন ডিফেন্ডার। এরপর কামিন্সের কেরামতিতে মোহনবাগান এগিয়ে যায় ২-০ গোলে।
[আরও পড়ুন: বাজপেয়ীর সমাধিতে একজোট NDA নেতারা, হাজির নীতীশ কুমারও, ব্যাপারটা কী?]
কিন্তু এরপর খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই ম্যাচে ফেরে মাচিন্দ্রা। খেলার ৭৮ মিনিটে বক্সের ধার থেকে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে ফেলেন মাচিন্দ্রার ওলাওয়ালে। ২-১ হওয়ার পর যখন মনে হচ্ছিল শেষ কয়েক মিনিট তেড়েফুঁড়ে নামবে নেপালের ক্লাবটি, তখনই ফের গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন আনোয়ার। ৮৬ মিনিটে আবারও হেডার থেকেই বিপক্ষের জালে বল জড়ান তিনি।
[আরও পড়ুন: হিমাচলকে ‘দুর্যোগ-বিধ্বস্ত’ রাজ্য ঘোষণা করুন, মোদির কাছে আরজি কংগ্রেসের]
মাচিন্দ্রা এফসি (Machhindra FC) খাতায়কলমে মোহনবাগানের থেকে অনেকটাই দুর্বল। তাই নেপালের দলটির বিরুদ্ধ সবুজ-মেরুনের জয় প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু ডার্বির পর জুয়ান ফেরান্দোর ছেলেরা ছন্দে ফেরেন কিনা সেটাই দেখার প্রত্যাশাই ছিলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। দলের খেলায় পুরোপুরি মন না ভরলেও যেভাবে কামিন্স, সাহাল এবং আনোয়াররা পারফর্ম করলেন, তাতে খানিকটা হলেও হাসি ফুটবে সমর্থকদের মুখে।