সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুটিংয়ের সেটে বাচ্চা মেয়েটার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল দিদি-বোনের সম্পর্ক। কিন্তু এভাবে সব শেষ হয়ে যাবে কে জানত! ‘দঙ্গলকন্যা’ সুহানি ভটনাগরের (Suhani Bhatnagar) স্মরণসভায় এসে চোখের জল ফেললেন ববিতা ফোগাট (Babita Phogat)। শুধু তাই নয়, মৃতা সুহানির বাবা-মায়ের পাশে থেকে তাঁদের সান্ত্বনাও দিলেন এই কুস্তিগির।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সুহানি চিরঘুমে পাড়ি দেন। সোমবার সুহানির স্মরণসভার আয়োজন করা হয়েছিল। পর্দার ‘ববিতা’র স্মরণসভায় উপস্থিত হন আসল ববিতা ফোগাট। নিজেই সেই স্মরণসভার কিছু ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন প্রখ্যাত কুস্তিগির।
[আরও পড়ুন: কুয়াদ্রাতের ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন নতুন বিদেশি আলেকজান্দার পন্টিচ]
ববিতার পোস্ট করা দুটি ছবির মধ্যে প্রথমটিতে তাঁকে প্রয়াত সুহানির ছবির সামনে হাতজোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। দ্বিতীয় ছবিতে সুহানির মায়ের হাত ধরে আবেগতাড়িত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এই মহিলা কুস্তিগিরকে। ছবির ক্যাপশনে ববিতা লিখেছেন, ‘দঙ্গল সিনেমায় আমার কৈশোরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুহানি, ওঁর মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। ওঁর শোকস্তব্ধ বাবা-মায়ের পাশে দাঁড়াতে ফরিদাবাদে ওঁদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওম শান্তি।’
‘দঙ্গল’ সিনেমায় আমির খান অর্থাৎ ‘মহাবীর সিং ফোগাট’-এর মেয়ে ববিতার ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সুহানি। তবে মাত্র ১৯ বছরের থেমে যান তিনি। ডার্মাটোমায়োসাইটিস নামের রোগের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এটি একটি রেয়ার কন্ডিশন। যা ত্বক, মাসল, ফুসফুস-সহ শরীরের একাধিক অঙ্গকে প্রভাবিত করতে পারে বলেই জানা গিয়েছে। শোনা যায় মাস দুয়েক আগে সুহানির দুই হাত ফুলতে শুরু করেছিল। সেই সময় তাঁকে স্টেরয়েড দেওয়া হয়। কারণ তাঁর ক্ষেত্রে নাকি এটিই একমাত্র ওষুধ ছিল।
আরও শোনা যায় স্টেরয়েডের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় সুহানির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভীষণভাবে প্রভাবিত যায়। তাঁর ফুসফুস দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। শরীরের এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে জলও জমে গিয়েছিল। সেই কারণেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেড়ে যায়। মৃত্যুর আগে ১০ দিন ধরে এইমসে ভর্তি ছিলেন ১৯ বছরের তরুণী। শুক্রবার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। হরিয়ানায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর পর তাঁর স্মরণসভায় এসে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে যান ববিতা।