সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিএবি প্রথম ডিভিশন লিগের ডার্বিতে (Derby) ম্যাচে ফিরল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় দিনের শেষে একথা বলাই যায়। লাল-হলুদ শিবির প্রথম দিন ১৭৪ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল। দিনের শেষে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) রান ছিল বিনা উইকেটে ৩৫ রান।
দ্বিতীয় দিনে লাল-হলুদ বোলাররা ম্যাচে ফেরাল ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। মোহনবাগানের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৮৯ রানে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইস্টবেঙ্গলের রান ১ উইকেটে ৫১। ৩৬ রানে এগিয়ে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। শুক্রবার তিন দিনের সিএবি লিগের শেষ দিন। অনেক রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে শুক্রবার। ডার্বির ফলাফল কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।
প্রথম দিনের শেষে মোহনবাগানের সুদীপ ঘরামি এবং অঙ্কুর পাল অপরাজিত ছিলেন। এদিন ব্যক্তিগত ৬৪ রানে সুদীপকে আউট করেন ইস্টবেঙ্গলের বোলার অয়ন ভট্টাচার্য। কাজি জুনেইদ সইফি ‘ডাক’ দেখেন। অয়নের বলেই ফেরেন জুনেইদ। ১২৪ রানে ২টি উইকেট হারায় মোহনবাগান।
[আরও পড়ুন: ৭৭ বছরে চিরঘুমে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার-কোচ প্রবীর মজুমদার]
গতদিনের অপরাজিত অঙ্কুর পাল মিড অফে ধরা পড়েন অয়নেরই বলে। ৩ উইকেটে ১৩২ হয়ে যায় মোহনবাগান। ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ফেরেন অঙ্কুর। শুভঙ্কর বল মাত্র ২ রানে ফেরেন সুমিত মোহান্তের বলে। সুরুল কানোয়ার একটি ছক্কা, একটি বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন সাত্যকি দত্তকে। কিন্তু শেষ হাসি তোলা ছিল সাত্যকির জন্যই। আরও একটি বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ধরা পড়েন সুরুল কানোয়ার।
চা পানের বিরতির সময়ে মোহনবাগানের রান ছিল ৮ উইকেটে ১৮৯ রান। চা পানের বিরতির পরে আর রান যোগ করতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। মোহনবাগানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮৯ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৫ রানে এগিয়ে থাকে মোহনবাগান। ইস্টবেঙ্গলের অমিত কুইল্যা এবং অয়ন ভট্টাচার্য তিনটি করে উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ইস্টবেঙ্গল ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হারায় অভিষেক দাসের উইকেট। শূন্য রানে ফেরেন তিনি। দিনের শেষ ১৪ ওভারে ১ উইকেটে ৫১ রান করে ইস্টবঙ্গল। সৌরভ পাল ৩৫ রানে অপরাজিত রয়েছেন।