সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টিভির ক্যামেরা যখন তাঁকে ক্লোজআপে পাচ্ছিল, তখনই তাঁর মুখে ফুটে উঠেছে যন্ত্রণার রেখাগুলো৷ কখনও মাঠে শুয়ে কাতরাচ্ছেন৷ কখনও প্রাণপণে রেফারির কাছে আবেদন করে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছেন৷ কখনও আবার ভাগ্যের হাতে সব ছেড়ে দিয়ে নিজের কষ্ট নিজেই গিলে ফেলছেন৷ তিনি নেইমার জুনিয়র৷ তাঁর পায়ে বল এলে তিনদিক থেকে তিনজন ডিফেন্ডার ছুটে আসবেন৷ ব্লকিং হবে, পুলিশম্যান মার্কিং থাকবে৷ এ তো তাঁর থেকে ভাল আর কেু জানেন না৷ সে সব ভেঙে দুরন্ত ড্রিবলিংয়ে এগিয়ে যাবেন তিনি৷ সমর্থকদের মতো তাঁর নিজেরও একই প্রত্যাশা৷ অথচ বিশ্বকাপ অভিযান শুরুতে বারবার ধরাশায়ী হতেই দেখা গেল নেইমারকে৷
[ নেইমারকে ট্যাকলের প্রতিবাদে নবান্ন ঘেরাও! নেটদুনিয়ায় টানটান বিশ্বকাপ যুদ্ধ ]
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপের গত কুড়ি বছরের ইতিহাসে এত সংখ্যক ফাউল আর কাউকে সহ্য করতে হয়নি৷ ইএসপিএন-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাতের ম্যাচে নেইমারকে অন্তত বার দশেক ফাউল করা হয়েছে৷ ১৯৯৮-এর পর থেকে বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে কোনও একজন প্লেয়ারকে এতবার ফাউল করার নজির আর নেই৷ রেকর্ডটি দখলে আছে অ্যালেন শ্যেরার দখলে৷ তিউনিশিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ১১ বার ফাউল সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে৷ ব্রাজিলের ইতিহাসেও সুইসদের বিরুদ্ধে ম্যাচটি নজির হয়ে থাকবে৷ ১৯৬৬ থেকে ধরলে কোনও একজন খেলোয়াড়কে এতবার ফাউলের মুখে আর কখনও পড়তে হয়নি৷ এমনকী রোনাল্ডো, রিভাল্ডো, রোনাল্ডিনহোর মতো তারকাদের এ পরিস্থিতি সহ্য করতে হয়নি৷
মাঠে নেইমারের পড়ে থাকার ছবি ও ভিডিওতে আজ ছেয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়া৷ অনেকেই নেইমারের বিরুদ্ধে প্লে-অ্যাক্টিংয়ের অভিযোগ আনছেন৷ কেউ কেউ বলছেন পেনাল্টি আদায় করতে গিয়ে চতুরতার আশ্রয় নিয়েছেন ব্রাজিল তারকা৷ তবে এই পরিসংখ্যান কিন্তু সে যুক্তি খণ্ডনই করছে৷ আপাতত ড্র করেই অভিযান শুরু করেছেন নেইমাররা৷ সুসংবদ্ধভাবে খেললেও একবারের বেশি গোলমুখ খোলেনি৷সুযোগ এসেও হাতছাড়া হয়েছে. একদিকের উইংও অচল থেকেছে৷ নিজেদের ব্যর্থতা ভালভাবেই অনুধাবন করেছেন তিতেরা৷ তা শুধরেই পরের ম্যাচে এগোবেন তাঁরা৷ তবে সেখানেও কি থাকবে ফাউলের ভূত? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন৷
The post বিশ্বকাপের গত ২০ বছরের ইতিহাসে সবথেকে বেশি ফাউল সহ্য করতে হল নেইমারকেই appeared first on Sangbad Pratidin.