সুনীল ছেত্রীকে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়

08:59 PM May 19, 2020 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের মাঝেই দুই অধিনায়ক মুখোমুখি হওয়ায় জমে উঠেছিল রবিবারটা। করোনার চোখ রাঙানি ভুলে নানা মজাদার গল্পে মেতে উঠেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট ও ফুটবলের দুই সেরা তারকা। বিরাট কোহলি এবং সুনীল ছেত্রী। তাঁদের ভিডিও চ্যাট থেকে মাঠ ও মাঠের বাইরের নানা মজার কাহিনি জানতে পেরেছেন অনুরাগীরা। কিন্তু কয়েনের ঠিক উলটো পিঠের মতোই বিতর্ক মুক্ত রইল না তাঁদের চ্যাটিং। সুনীলের প্রতি এক নেটিজেনের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

Advertisement

লকডাউনের মধ্যে প্রায় দু’মাস ধরে ঘরে বন্দি অ্যাথলিটরা। যোগাযোগের মাধ্যম বলতে মোবাইল ফোন আর সোশ্যাল মিডিয়া। ভিডিও চ্যাটেই তাই একে অপরের সঙ্গে গল্পে মেতে উঠছেন। ব্যতিক্রমী নন তারকারাও। তাঁদের ভিডিও চ্যাটিং আবার গোপন থাকে না। প্রিয় খেলোয়াড়ের হাড়ির খবর জানতে সদা উৎসুক থাকেন অনুরাগীরা। তেমনই সুনীল ও কোহলির চ্যাটিংয়ে কী আলোচনা হয়, তা নিয়েও দারুণ আগ্রহী ছিলেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। আর তারই মধ্যে তাল কাটলেন এক নেটিজেন। যশ শর্মার (yashsharma.official) নামের একটি প্রোফাইল থেকে সটান লেখা আসে, “এই নেপালিটি কে?” দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতাকে এভাবে অপমান করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে ফের ত্রাতার ভূমিকায় লক্ষ্মীরতন, ১০০ শ্রমিক পরিবারকে ঘরে ফেরালেন মন্ত্রী]

সুনীলের পাশে দাঁড়িয়ে ওই নেটিজেনকে একহাত নেন অনুরাগীরা। দেশের সর্বোচ্চ গোলদাতা তথা বর্তমানে সেরা ভারতীয় স্ট্রাইকারকে যে এধরনের মন্তব্য করা একেবারেই অনুচিত, তা কটাক্ষের সুরেই জানিয়েছেন প্রত্যেকে। একজন লেখেন, “কেউ সুনীল ছেত্রীকে না-ই চিনতে পারেন। তাই বলে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষদের এভাবে নেপালি-চিঙ্কি বলে সম্বোধন করার প্রবণতাটা অত্যন্ত লজ্জাজনক।”

Advertising
Advertising

গত মাসেই উত্তর-পূর্ব ভারতের নাগরিকদের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল বলে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন সুনীল। এবার তিরবিদ্ধ তিনি নিজেই। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি মেন ইন ব্লু অধিনায়ক।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে মাঠে নামতে চূড়ান্ত কড়াকড়ি, অ্যাথলিটদের জন্য জারি ২২টি নিয়ম]

The post সুনীল ছেত্রীকে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় appeared first on Sangbad Pratidin.

Advertisement
Next