আলাপন সাহা: সোশ্যাল মিডিয়ায় বীরেন্দ্র শেহওয়াগের পোস্ট-‘রিঙ্কু একেবারে নিজস্ব মেজাজেই ম্যাচটা শেষ করল।’ একা শেহওয়াগ কেন, রিঙ্কু (Rinku Singh) নিয়ে আবেগ-স্রোত এখন গোটা ভারতীয় ক্রিকেটমহলে বয়ে যাচ্ছে। ইডেনে গ্যালারি জুড়ে একটা সময় যেরকম, রিঙ্কু…রিঙ্কু শব্দব্রহ্ম চলছিল, যা দেখে রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিলেন নীতীশ রানারা। কেকেআর অধিনায়ক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে বলে গেলেন, ‘‘ইডেনের গ্যালারি যেরকমভাবে রিঙ্কু…রিঙ্কু করে চিৎকার করছিল, সেটাই ওর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।’’
ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে প্রেস কনফারেন্সে এসে আন্দ্রে রাসেল (Andre Russell) বেশিরভাগ সময়টাই পড়ে রইলেন রিঙ্কু নিয়ে। বলে গেলেন, তাঁর পূর্ণ আস্থা ছিল। জানতেন শেষ বলে রিঙ্কু ম্যাচ ঠিক শেষ করে আসবেন। রাসেল বলছিলেন, ‘‘জানতাম ও শেষ বলে ম্যাচ শেষ করে আসবে। রিঙ্কু কিন্তু দারুণ ব্যাটিং করছে। সবচয়ে বড় কথা হল ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে। আর আপনি যেখানেই বল করুন না কেন, সব ধরণের শট ও খেলতে পারে। ফলে কীভাবে কাউন্টার অ্যাটাক করতে হয়, সেটা ওর খুব ভাল জানা আছে। বিশ্বাস ছিল যে রিঙ্কু শেষ বলে ঠিক জিতিয়েই ফিরবে। আমি সেটা ওকে বলেওছিলাম। ওকে বলি তোমার উপর পুরো বিশ্বাস আছে। তুমি ম্যাচটা জেতাবেই।’’
[আরও পড়ুন: তুঙ্গে চিন-কানাডার ঠান্ডা লড়াই, বেজিংয়ের কূটনীতিককে তাড়াল ট্রুডো সরকার]
একা রিঙ্কু নন, রাসেলের ওই ২৩ বলে ৪২ রানের ইনিংসটা ছাড়াও কেকেআর কোনওভাবে জেতে না। এতদিন পর্যন্ত সেভাবে ‘রাসেল-ঝড়’ দেখা যায়নি। যা এদিনের ইডেন দেখল। বলছিলেন, ‘‘আমি জানতাম বোলাররা আমাকে অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে বোলিং করবে। সেটাকে কাউন্টার করার জন্যই আমি একটু বেশি অফস্টাম্পের ভিতরে ঢুকে দাঁড়িয়েছিলাম।’’ স্যাম কুরানকে উনিশতম ওভারে তিনটে ছয় মারার প্রসঙ্গে রাসেল বলে যান, তিনি শেষ ওভারে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছিলেন না। বললেন, ‘‘জানতাম অর্শদীপ শেষ ওভারটা করবে। ডেথ ওভারে ও খুব ভাল বোলিং করে। সেখানে দুটো-তিনটে ডট বল হয়ে গেলেই চাপটা আমাদের উপর চলে আসত। তাই ঠিক করেছিলাম শেষ ওভারের জন্য যত কম রান রাখা যায়। সেটাই শুধু আমার মাথায় ঘুরছিল।’’ সবমিলিয়ে রাসেল-রিঙ্কু জুটিতেই কেকেআরের (Kolkata Knight Riders) কাছে প্লে অফ এখনও জীবিত।