সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সাতে সাত’ করে ইতিমধ্যেই চলতি বিশ্বকাপের (ICC ODI World Cup 2023) সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। তবে তাই বলে শীর্ষে থাকা ভারতীয় দল কিন্তু পরের বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকাকে (South Africa) একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না। বরং অষ্টম ম্যাচেও জিততে পূর্ণ শক্তির দলই ইডেন গার্ডেন্সের (Eden Gardens) বাইশ গজে নামিয়ে দেবেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। স্বভাবতই ফর্মে থাকা ভারতকে নিয়ে, আরও বিশদে বলতে গেলে ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিগেডের বোলিং নিয়ে বেশ চিন্তিত লিগ তালিকার দুই নম্বরে থাকা প্রোটিয়ারা।
এবারের কাপ যুদ্ধে দারুণ ফর্মে আছেন কুইটন ডি কক (Quinton De Kock)। নিজের শেষ বিশ্বকাপে ডি কক ইতিমধ্যেই চারটি শতরান করে ফেলেছেন। ছন্দে রয়েছেন আইডেন মার্করাম (Aiden Markram), হেনরিক ক্লাসেন (Heinrich Klaasen), ডেভিড মিলাররা (David Miller)। তবুও দলের অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার মাথায় মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), জশপ্রীত বুমরাহ (Jasprit Bumrah) ও মহম্মদ সিরাজের (Mohammed Siraj) নাম ঘুরপাক খাচ্ছে। এমনকি তিনি দুই স্পিনার কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav) ও রবীন্দ্র জাদেজাকে (Ravindra Jadeja) বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ভালো খেলায় বাধা নিরাপত্তার করাকড়ি! ফের লোক হাসালেন মিকি আর্থার]
মেগা ম্যাচে নামার আগে সাংবাদিক বৈঠকে এসেছিলেন টেম্বা বাভুমা। ফর্মে থাকা ভারতের বোলিং নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অকপটে বলেন, “কুলদীপ ও জাদেজা মাঝের ওভারে বিপক্ষের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। নিয়মিত ভাবে নিচ্ছে উইকেট। যদিও আমরা গত কয়েক বছর ধরে স্পিনারদের খুব ভালোভাবে খেলছি। তাই আমরা ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারি।”
কিন্তু বাইশ গজে আগুন ঝারানো পেসারদের কীভাবে সামলাবেন? বাভুমার স্বীকারোক্তি, “ভারতের পেস বোলিং এই মুহূর্তে অন্যতম সেরা। এমন বিশ্বমানের তিন পেসারকে খেলার আগে যে কোনও ব্যাটার চিন্তায় থাকবে। আমাদের তো বিপক্ষ দলের শক্তিকে সম্মান জানাতেই হবে।”
এদিকে ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে প্রোটিয়া শিবিরকে চাঙ্গা রাখার জন্য অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন শন পোলক। প্রাক্তন তারকা পেসার, যিনি আবার ব্যাটেও প্রচুর রান করেছেন, বিশ্বকাপে একটি চ্যানেলের হয়ে ধারাভাষ্যকারের কাজ করছেন। তিনি এবার পোলক এসেছেন বিশেষ অনুরোধের পর। এসেছেন, দলকে উৎসাহ দিতে। এবং বড় ম্যাচের চাপ সামলানোর পরামর্শ দিতে এসেছিলেন। সবমিলিয়ে মেগা ম্যাচের জন্য প্রস্তুত ক্রিকেটের নন্দনকানন। কে শেষ হাসি হাসে সেটাই দেখার।