সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিসিসিআইয়ের (BCCI) তরফ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, চোটের জন্য দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারবেন না রবীন্দ্র জাদেজা (Ravindra Jadeja)। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় টেস্ট । ভেন্যু রাজকোট। নিজের হোম গ্রাউন্ডে কি আদৌ কামব্যাক করতে পারবেন জাড্ডু? হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট সারাতে এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে (National Cricket Academy) রয়েছেন। সেখান থেকেই ইনস্টাগ্রামে এক বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তারকা অলরাউন্ডার।
ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জাদেজা। সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাঠের এক দিক থেকে অন্য দিকে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। সেই ভিডিওর ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘#Donotgiveup’। বেশ বোঝা যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোতে খেলতে মুখিয়ে রয়েছেন স্যর জাদেজা। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি তারকা অলরাউন্ডার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে লিখেছেন, ‘আপাতত এটাই আমার ঘর।’ ছবিতে দেখা যাচ্ছিল এনসিএ-এর একটি লোগো। তবে তাঁর লেখা বার্তায় কোথাও উল্লেখ নেই যে তিনি কতদিনের মধ্যে ফিট হয়ে আবার দলে ফিরবেন। প্রথম টেস্টে (IND vs ENG) ২৮ রানে হেরে যাওয়ার জন্য এমনিতেই ব্যাপক চাপে রয়েছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid)। এরমধ্যে জাদেজার দলে ফিরতে আরও সময় লাগলে, টিম ম্যানেজমেন্ট আরও ব্যাকফুটে চলে যাবে।
[আরও পড়ুন: মারমুখী মেজাজে অপরাজিত ১৭৯, কাকে ধন্যবাদ জানালেন দ্বিশতরান করার স্বপ্নে বিভোর যশস্বী?]
প্রথম টেস্টে বেন স্টোকসের (Ben Stokes) থ্রোতে জাদেজা দ্বিতীয় ইনিংসে রান আউট হয়েছিলেন। সেটাই ছিল ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট। কিন্তু একইসঙ্গে জাদেজার হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটও কিন্তু দলকে আরও বড় ধাক্কা দিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১৮০ বলে ৮৭ রান করেছিলেন জাড্ডু। এর পর বোলিং করতে নেমে দুই ইনিংসেই উইকেট নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ৮৮ রানে ৩ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় তাঁর ঝুলিতে এসেছিল ১৩১ রানে ২ উইকেট। এহেন জাদেজার সার্ভিস যদি সিরিজের বাকি তিন টেস্টে না পাওয়া যায় তাহলে টিম ম্যানেজমেন্টের চিন্তা আরও বাড়বে।
কেএল রাহুল ও জাদেজার বদলি হিসাবে সরফরাজ খান ও সৌরভ কুমারের নাম ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। সেই সঙ্গে আবেশ খানকেও জাতীয় দল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে দলে এসেছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তৃতীয় টেস্ট শুরু হওয়ার আগে জাদেজা চোট সারিয়ে উঠতে পারলে ভালো, কিন্তু সেটা না হলে ঘরের মাঠে ভারতীয় দলের চাপ যে আরও বাড়বে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।