ভারত: ৩২৫/১০ (প্রথম ইনিংস) ও ২৭৬/৭ দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার্ড (মায়াঙ্ক-৬২, পূজারা-৪৭, গিল-৪৭, প্যাটেল-১০৬/৪, রবীন্দ্র-৫৬/৩)
নিউজিল্যান্ড: ৬২/১০
৫৩৯ রানে এগিয়ে ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইলিয়ামসনহীন নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ৬২ রানে। মেরেকেটে ঘণ্টা দুয়েক ব্যাটিং করেছিলেন টম লাথামরা। সেই কিউয়ি বাহিনীকে ৫৪০ রানের লক্ষ্যমাত্রার সামনে এনে দাঁড় করিয়ে দিল টিম ইন্ডিয়া! হাতে আড়াই দিন সময় থাকলেও এহেন টার্গেট যে নিউজিল্যান্ডের কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, তা বলাই বাহুল্য।
কিউয়িদের দ্রুত গুটিয়ে দিয়ে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনেই দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে পড়েছিল ভারত (Team India)। গতকাল একটিও উইকেট হারায়নি দল। তবে রবিবাসরীয় ওয়াংখেড়েতে ফের জ্বলে উঠলেন অ্যাজাজ প্যাটেল। ছন্দে থাকা দুই ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল, পূজারার উইকেট তুলে নেন তিনিই। এরপর জুটি বাঁধেন শুভমন গিল ও ক্যাপ্টেন কোহলি। চলতি টেস্টে তরুণরা যেখানে বারবার নিজেদের প্রমাণ করতে মরিয়া, সেখানে কিন্তু আবারও ফ্যাকাসে কোহলি। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও একই রকমভাবে এলবিডব্লিউ হচ্ছিলেন তিনি। ফিল্ড আম্পায়ার নটআউট দিলে রিভিউ নেয় নিউজিল্যান্ড। তবে এবার সঞ্জীবনী পান কোহলি (Virat Kohli)। কিন্তু লাইফলাইন পেয়েও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ ভারত অধিনায়ক। ৮৪ বলে ৩৬ রান করেই রবীন্দ্রর ডেলিভারিতে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে। এই নিয়ে ৫৮টি টেস্ট ইনিংসে সেঞ্চুরি নেই কোহলির। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর ফর্ম নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল।
[আরও পড়ুন: আইপিএলে বেটিংয়ের ছায়া! আহমেদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ বিসিসিআইয়ের]
ভারতীয় মিডল অর্ডারে ধস নামানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন রবীন্দ্র ও প্যাটেল (Ajaz Patel)। ক্রিজে খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শ্রেয়স (১৪) ও ঋদ্ধিমান (১৩)। তবে টেল এন্ডার হিসেবে নজর কাড়লেন অক্ষর প্যাটেল। ৪১ রান করে দলকে ৫০০ রানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করেন ভারতীয় বোলার।
ব্যাটারদের দায়িত্ব শেষ। এবার স্পিনিং ট্র্যাকে ভারতীয় বোলাররা কতটা বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেন, সেটাই দেখার। দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে কিউয়িদের বিরুদ্ধে জয়ের ইতিহাসই রচনা করতে চান দ্রাবিড়ের ছেলেরা।