রাজস্থান রয়্যালস: ১৮৮-৬ (বাটলার ৮৯, স্যামসন ৪৭)
গুজরাট টাইটান্স: ১৯১-৩ (মিলার ৬৮, হার্দিক ৪০)
গুজরাট ৭ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভিড়ে ঠাসা ইডেনে (Eden Gardens) টানটান ম্যাচ। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই বাটলার-মিলারদের। তবে শেষ হাসি হাসলেন হার্দিক পাণ্ডিয়ারা। রাজস্থানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল ২০২২-এর ফাইনালে উঠে গেল গুজরাট টাইটান্স (Gujarat Titans)। রাজস্থানের হয়ে ব্যাট হাতে বাটলারের খেলা ৮৯ রানের অনবদ্য ইনিংস বিফলে গেল। শেষদিকে মিলারের ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস জিতিয়ে দিল গুজরাটকে। এই ম্যাচে হারের ফলে রাজস্থানকে এবার খেলতে হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।
এদিন ভিড়ে ঠাসা ইডেনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটান্স হার্দিক পাণ্ডিয়া (Hardik Pandya)। হার্দিকের সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে শুরুতেই রাজস্থানকে ধাক্কা দেন গুজরাটের পেসার যশ দয়াল। কিন্তু প্রথম উইকেটের পতনের পরই ইনিংসের মোড় ঘুরিয়ে দেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson) এবং জস বাটলার। বাটলার শুরুটা অন্যদিনের তুলনায় কম গতিতে করলেও সেট হওয়ার পর গুজরাটের বোলারদের বেধড়ক পেটানো শুরু করেন। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে রাজস্থান (Rajasthan Royals) পৌঁছে যায় ৭৯ রানে। সঞ্জু স্যামসন আউট হন ৪৭ রানে। সঞ্জুর উইকেটের পর দেবদত্ত পাড়িক্কলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বাটলার। পাড়িক্কল করেন ২৮ রান। কিন্তু পাড়িক্কলের উইকেটের পর একপ্রান্ত থেকে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। আর অন্য প্রান্তে একা সিংহের মতো লড়তে থাকেন টুর্নামেন্টের অরেঞ্জ ক্যাপের মালিক বাটলার। তিনি শেষপর্যন্ত ৫৬ বলে করেন ৮৯ রান। মূলত তাঁর এই চমকপ্রদ ইনিংসে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে রাজস্থান।
[আরও পড়ুন: মাজিয়াকে গোলের মালা পরিয়ে এএফসি কাপের ইন্টারজোনাল সেমিফাইনালে মোহনবাগান]
জবাবে ব্যাট করতে এসে শুরুটা ভাল হয়নি গুজরাটেরও। নিজের ঘরের মাঠে সমর্থকদের হতাশ করে শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরে যান ভাল ফর্মে থাকা ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। কিন্তু ঋদ্ধির উইকেটের পর ওয়েড এবং গিলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইটান্সরা। গিল মাত্র ২১ বলে ৩৫ রান করে রান আউট হন। ওয়েডও ৩০ বলে ৩৫ রান করেন। এরপর আবার জুটি বেঁধে ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক এবং ডেভিড মিলার (David Miller)। এই জুটিই শেষপর্যন্ত রাজস্থানের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে দেয়। মিলার ৩৮ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার ছিল, তখন প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকান তিনি। তাতেই বদলে যায় ম্যাচের ফল। হার্দিক করেন ২৭ বলে ৪০ রান।
[আরও পড়ুন: আগামী মরশুমে আইপিএলে ফিরছেন, জল্পনা উড়িয়ে জানিয়ে দিলেন ডিভিলিয়ার্স]
এই ম্যাচের পর দু’দলই চলে যাবে আহমেদাবাদে। গুজরাট যাবে ফাইনাল খেলতে। আর রাজস্থান রয়্যালসকে খেলতে হবে কোয়ালিফায়ার-২। বুধবার ইডেনে এলিমিনেটরে জয়ী দলের বিরুদ্ধে খেলবে তাঁরা। বলে রাখা দরকার, ইডেনে প্রথম কোয়ালিফায়ারের আগে আবহাওয়া নিয়ে ভালরকম চিন্তা ছিল সিএবি কর্তাদের। এদিন দুপুরেও বৃষ্টি হয়। কিন্তু তাতে ম্যাচের উপর কোনও প্রভাব পড়েনি। এদিনের আউটফিল্ড যেভাবে খেলেছে, তাতে মাঠকর্মীদের লেটার মার্কস প্রাপ্য।