সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি আইএসএলের প্রথম ডার্বি ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়েছে ফুটবলের মক্কায়। আজ যেন সব পথ গিয়ে মিশছে যুবভারতীয় ক্রীড়াঙ্গনে। মোহনবাগান নাকি ইস্টবেঙ্গল? টুর্নামেন্টের প্রথম বড় ম্য়াচে কোন দল শেষ হাসি হাসবে? তার উত্তর জানতে চোখ রাখতে হবে ৯০ মিনিটের লড়াইয়ে। তবে খাতায়-কলমে কোন দল এগিয়ে? কোন দলের শক্তি এবং দুর্বলতা কী? গেমচেঞ্জারই বা কারা? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
মোহনবাগানের শক্তি: মাঝমাঠে জনি কাউকো, হুগো বুমোসের উপস্থিতি। ছন্দে রয়েছেন আক্রমণ ভাগের বিদেশি দিমিত্রি পেত্রাতোস। সঙ্গে দেশজ ব্রিগেডের ফর্ম ভরসা জোগাবে সবুজ-মেরুন শিবিরকে।
ইস্টবেঙ্গলের শক্তি: দলের আক্রমণভাগ দারুণ। ৩ ম্যাচে পাঁচ গোল করেছে লাল-হলুদ। ছন্দে রয়েছে মাঝমাঠও।
[আরও পড়ুন: প্রভাবশালী তত্ত্বে সিলমোহর, ফের খারিজ অনুব্রতর জামিনের আরজি]
মোহনবাগানের দুর্বলতা: দলের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা এর রক্ষণ। আইএসএলে (ISL 2022-23) দুই ম্যাচে ৪ গোল হজম করেছে সবুজ-মেরুন ডিফেন্স। সেন্ট্রাল ডিফেন্সে ফাঁকফোঁকর বারবার প্রকট হচ্ছে।
ইস্টবেঙ্গলের দুর্বলতা: রক্ষণভাগ প্রধান চিন্তার কারণ। রক্ষণে তালমিলের অভাব স্পষ্ট। তিন ম্যাচে ৬ গোল হজম করেছে লাল-হলুদ ডিফেন্স।
মোহনবাগানের গেমচেঞ্জার: সবুজ-মেরুনের (Mohun Bagan) তুরুপের তাস দিমিত্রি পেত্রাতোস। কেরালা ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন। সেই ফর্ম ডার্বিতে মেলে ধরতে পারলে নায়ক হতেই পারেন অজি অ্যাকাটার।
ইস্টবেঙ্গলের গেমচেঞ্জার: ক্লেটন সিলভা। শেষ দু’ম্যাচে গোল পেয়েছেন এই ব্রাজিলীয় তারকা। ডার্বি জিততে তার দিকেই তাকিয়ে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)।
মোহনবাগানের মগজাস্ত্র: জুয়ান ফেরান্দোর পছন্দ আক্রমণত্মক ফুটবল। গেম-রিডিং অসাধারণ। ৩-৫-২ ছকে দলকে খেলাতে অভ্যস্ত। পরিবর্ত বাছাইয়ে চমক দেন। যেমনটা দিয়েছিলেন কিয়ান নাসিরিকে নামিয়ে।
ইস্টবেঙ্গলের মগজাস্ত্র: ভারতীয় ফুটবলকে হাতের তালুর মতো চেনেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। ম্যান-ম্যানেজমেন্ট দুর্দান্ত ব্রিটিশ কোচের। পছন্দ করেন ৪-৪-২ দলকে খেলাতে। হার না মানা মনোভাবটা কনস্ট্যানটাইনের সবচেয়ে বড় ইউএসপি।