স্টাফ রিপোর্টার: বৃহস্পতিবার রাতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) আকস্মিক প্রয়াণে শুধু রাজনৈতিকমহলে যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, তা নয়। একইসঙ্গে শোকাতুর ময়দানও। আলোর উৎসবের দিনেও মোহনবাগান তাঁবুতে অন্ধকার। মোহনবাগান-অন্ত প্রাণ মানুষটা যে এভাবে চলে যাবেন, সেটা বোধহয় কেউ ভাবতেও পারেননি।
ক্লাব সচিব সৃঞ্জয় বোসের শোকার্ত গলা শুনে মনে হবে তিনি ক্লাবের একজন সহযোদ্ধা নন, হারালেন একজন অভিভাবককে। কী বলবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। মোহনবাগান (Mohun Bagan) সচিব বলছিলেন, “ভাবতে পারছি না, সুব্রতদা এভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। কী বলব? বলার মতো কোনও ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি একজন অভিভাবককে হারালাম। আমার কাছে অপূরণীয় ক্ষতি।” বর্তমানে মোহনবাগান ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু ক্লাবের হয়ে কাজ করার জন্য কখনওই কোনও পদের দরকার হত না তাঁর। সবসময় মোহনবাগানের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে শুক্রবার ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘সুব্রতদাকে এই অবস্থায় দেখতে পারব না’, হাসপাতালে ভেঙে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী]
শুক্রবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষশ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্র সদন যান ক্লাবের সচিব সৃঞ্জয় বোস, ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত এবং প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিত চট্টোপাধ্যায়। শেষবারের মতো সুব্রতবাবুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর দেহ সবুজ-মেরুন পতাকায় মুড়িয়ে দেন মোহনবাগান কর্তারা। সৃঞ্জয় বোস (Srinjoy Bose) বলছিলেন, “এটা মোহনবাগানীদের কাছে সত্যিই খুব বড় ক্ষতি। এটা আমাদের কাছে ব্যক্তিগতভাবে বিরাট ক্ষতি। এত কর্মব্যস্ততার মাঝেও মোহনবাগানের লিগের সব খেলা দেখতে আসতেন। ক্লাবের হয়ে কাজ করার জন্য তাঁর পদের দরকার হত না। এমন একজনকে পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন।”
[আরও পড়ুন: বঙ্গ রাজনীতির অপূরণীয় ক্ষতি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিকমহল]
শুধু ফুটবল নয়, ময়দানের অন্যান্য খেলার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সুব্রতবাবু। রাজ্য কবাডি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী৷ তাঁর প্রয়াণে কবাডিতেও বিরাট ধাক্কা। একটা সময় যুক্ত ছিলেন বেঙ্গল স্টেট টেবিল টেনিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও। ইডেনে ক্রিকেট ম্যাচ হলেও সবরকমভাবে সাহায্য করতেন তিনি। স্বভাবতাই তাঁর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন কলকাতা ময়দান।