সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টি-২০ বিশ্বকাপের (T-20 World Cup) সেমিফাইনালে ভরাডুবির পর চোখ খুলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের। এবার একগুচ্ছ ‘জড়ভরত’কে নাকি অবসরের পথে ঠেলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই (BCCI)। আগামী একবছরে নাকি দলের সিনিয়র তারকাদের আর টি-২০ ক্রিকেট খেলানো হবে না। বরং তরুণ এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের তৈরি করা হবে ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপের কথা ভেবে। ততদিন সিনিয়র ক্রিকেটারদের শুধু ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেটে (Test Cricket) ফোকাস করতে বলা হবে।
বিশ্বকাপের এই ভরাডুবির পর রোহিত-কোহলিরা (Virat Kohli) কি সসম্মানে অবসর নেবেন? ভারতীয় ক্রিকেট মহলে বৃহস্পতিবার থেকেই এই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। দলের হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড় অবশ্য বৃহস্পতিবারই বলে দিয়েছিলেন, ‘এখন কারও অবসর নিয়ে কথা বলার সময় নয়।’ কিন্তু বিসিসিআই ঠিক উলটো কথা বলছে। বোর্ডের এক কর্তা এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন,”বিসিসিআই কোনও ক্রিকেটারকে অবসর নেওয়ার কথা সরাসরি বলতে পারে না। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু আগামী এক বছর সিনিয়রদের শুধু ওয়ানডে এবং টেস্টেই ফোকাস করতে বলা হবে। টি-টোয়েন্টিতে খেলানো হবে না।”
[আরও পড়ুন: দেশের কোভিড গ্রাফে সামান্য উন্নতি, দৈনিক সংক্রমণ নামল হাজারের নিচে]
বোর্ড সূত্রে খবর, আগামী বছর ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। দেশের মাটিতে সেই বিশ্বকাপে ভাল করার একটা সুযোগ ভারতের সামনে আছে। তাই আগামী একবছর এমনিতেও ভারত বেশি টি-২০ ক্রিকেট খেলবে না। বরং এই একবছর বেশি করে টেস্ট আর ওয়ানডে খেলা হবে। আর সিনিয়র ক্রিকেটারদের বলে দেওয়া হবে ওয়ানডেতে মনোযোগ দিতে। যেটুকু টি-২০ খেলা হবে, তাতে সুযোগ পাবে তরুণরাই। যাতে ২০২৪ সালের জন্য দল তৈরি করা যায়। অর্থাৎ জাতীয় দলের জার্সিতে সিনিয়রদের টি-২০ খেলার সম্ভাবনা আগামী একবছর অন্তত রোহিত-কোহলিদের সামনে নেই।
[আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে বসে কাজ করা চলবে না’, টুইটার কর্মীদের উদ্দেশে প্রথম বার্তাতেই কঠোর মাস্ক]
আসলে বোর্ড ঘুরিয়ে এই সিনিয়র তারকাদের একপ্রকার বলেই দিচ্ছে, ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাট থেকে তাদের অবসর নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), কেএল রাহুল (KL Rahul), বিরাট কোহলি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, দীনেশ কার্তিক, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমাররা। এদের প্রত্যেকেরই বয়স তিরিশ পেরিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, আগামী একবছর খেলার সুযোগ না পেলে তাদের অবসরের পথেই হাঁটতে হবে।