স্টাফ রিপোর্টার: ঐতিহ্যশালী ডুরান্ড কাপের উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৩০তম ডুরান্ড কাপ এই বছর শুরু হচ্ছে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে। চলবে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত।
আইএসএল (ISL), আই লিগ এবং সেনাবাহিনীর দল মিলে মোট ১৬টি দল এবার ডুরান্ডে অংশ নিচ্ছে। যা সরাসরি দেখা যাবে ‘আড্ডা টাইমসে।’ খেলা হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছাড়াও কল্যাণী স্টেডিয়াম এবং মোহনবাগান মাঠে। এদিন ফোর্ট উইলিয়মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল কমল রেপসোয়াল এবং সেনাবাহিনীর অন্যান্য শীর্ষকর্তাদের উপস্থিতিতে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, ডুরান্ডের শুরুতে অল্প সংখ্যক দর্শককে ম্যাচ দেখার অনুমতি দেওয়া হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে ধীরে ধীরে পঞ্চাশ শতাংশ দর্শক ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামে ঢোকার অনুমতি পেতে পারেন। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে সেই সময় কোভিড পরিস্থিতি কোন অবস্থায় থাকবে তার উপর।
[আরও পড়ুন: Cristiano Ronaldo: রোনাল্ডোকে ৭ নম্বর জার্সি উপহার দিতে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ ম্যান ইউর]
বাংলার ফুটবল দর্শকদের জন্য আরও একটি সুখবর জানান, কমল রেপসোয়াল। আগামী পাঁচ বছরও ডুরান্ড কাপ (Durand Cup) কলকাতাতেই হবে জানিয়ে দেন, ইস্টার্ন কম্যান্ডের শীর্ষকর্তা। অরূপ বিশ্বাস বলেন, “বাংলায় ডুরান্ড কাপ ভালভাবে করার জন্য রাজ্য সরকার এবং সেনাবাহিনী একসঙ্গে সচেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) অনুপ্রেরণায় ডুরান্ড কাপকে সফল করার জন্য রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে সাহায্য করবে।”
ডুরান্ড কাপের ১৬টি দলের মধ্যে বাংলা থেকে খেলছে একমাত্র মহামেডান স্পোর্টিং (Mohameddan Sporting)। এএফসি কাপের (AFC Cup) জন্য ডুরান্ডে খেলতে পারছে না এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। এবং ঠিক সময়ে দল তৈরি হতে পারেনি বলে নেই এসসি ইস্টবেঙ্গলও (SC East Bengal)।
১৬টি দলকে মোট চারটে গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। গ্রুপ ‘এ’তে রয়েছে এয়ারফোর্স ফুটবল টিম, মহামেডান স্পোর্টিং, সিআরপিএফ, এবং এফসি বেঙ্গালুরু।
গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে জামশেদপুর এফসি, সুদেভা এফসি, এফসি গোয়া, আর্মি গ্রীন ফুটবল টিম।
গ্রুপ ‘সি’তে আছে দিল্লি ফুটবল ক্লাব, ইন্ডিয়ান নেভি ফুটবল টিম, বেঙ্গালুরু ফুটবল ক্লাব এবং কেরালা ব্লাস্টার্স ফুটবল ক্লাব।
গ্রুপ ‘ডি’তে আসাম রাইফেলস ফুটবল টিম, আর্মি রেড ফুটবল টিম, হায়দরাবাদ ফুটবল ক্লাব এবং গোকুলাম কেরালা ফুটবল ক্লাব।
[আরও পড়ুন: Tokyo Paralympics-এ ইতিহাস, শুটিংয়ে দ্বিতীয় পদক জয় ভারতের অবনী লেখারার]
গ্রুপ স্টেজ পর্বের পর কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু হবে ২৩ অক্টোবর থেকে। দু’টি সেমিফাইনাল ২৭ এবং ২৯ অক্টোবর। ফাইনাল ৩ অক্টোবর। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলা হবে মোট ১৪ ম্যাচ। মোহনবাগান মাঠে ৯ ম্যাচ। কল্যাণী স্টেডিয়ামে ৮ ম্যাচ।