স্টাফ রিপোর্টার : এমনিতেই বেঙ্গালুরুর কাছে লজ্জার হার। তার উপর আরও বড় সমস্যায় মোহনবাগান। আগামী ২ অক্টোবর এসিএল-২-তে ইরানের ক্লাব ট্রাক্টর এসসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে মোহনবাগানের। অথচ ইরানে খেলতে যাওয়া নিয়ে বিদেশি ফুটবলারদের সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছিল। প্রথমে মনে করা হচ্ছিল ভিসা সমস্যা। যদিও পরে জানা যায়, ভিসা নিয়ে কোনওরকম সমস্যায় পড়তে হবে না দিমিত্রি-কামিংসদের। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়। কোথায়?
ইজরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইরানের পরিস্থিতি এখনও অস্থির। এই অবস্থায় সবুজ-মেরুনের অনেক বিদেশি ফুটবলারই ট্রাক্টর ম্যাচ খেলতে যেতে চাইছেন না। কারও কারও মনে হচ্ছে, এই সময় ওখানে খেলতে গেলে প্রাণের ঝুঁকি হয়ে যেতে পারে। যদিও এএফসির তরফ থেকে টিমের নিরাপত্তার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার পরও বিদেশি ফুটবলারদের অনেকে ইরানে যেতে অনিচ্ছুক। যা নিয়ে আবার মোহনবাগানের ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁদের একটা অংশের বক্তব্য, যদি নিরাপত্তার কারণে বিদেশি ফুটবলাররা ইরানে যেতে না চান, তাহলে তাঁরাই বা কেন যাবেন? নিরাপত্তার সমস্যা হলে শুধু বিদেশিদের হবে আর তাঁদের হবে না, সেটা তো নয়।
মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট বুঝতে পারছে না এই পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যাবে। ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে নিরপেক্ষ ভেনুতে এই ট্রাক্টর ম্যাচ আয়োজনের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না বলেই খবর। এখন যদি কোনওভাবে মোহনবাগান এসিএল-২-তে ট্রাক্টর ম্যাচ খেলতে না যায়, তাহলে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে ক্লাবকে। বিশাল আর্থিক জরিমানা তো হবেই, নির্বাসনের সম্ভাবনাও প্রবল। সেক্ষেত্র শুধু এ বছরই টুর্নামেন্ট থেকে মোহনবাগানকে নির্বাসিত করা হবে না, আগামী কয়েক বছরও নির্বাসন বহাল রাখা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও খেলার সুযোগ পাবে না মোহনবাগান। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল। শেষমেশ বিদেশি ফুটবলারদের ট্রাক্টর ম্যাচ খেলতে যাওয়ার জন্য সবুজ-মেরুন ম্যানেজমেন্ট রাজি করাতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।