প্রসূন বিশ্বাস: ম্যাচ তখনও শেষ হয়নি। শেষ বাঁশি বাজার কিছু আগের কথা। গ্যালারিতে ধ্বনি উঠল, ‘গো ব্যাক জুয়ান, গো ব্যাক ফেরান্দো।’ সময় বদলে যায়। পরিস্থিতিও। যে ফেরান্দোকে নিয়ে গত আইএসএল (ISL 10) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিল বাগান জনতা, সেই মোহনবাগান (Mohun Bagan) সমর্থকরাই শনিবার এফসি গোয়ার কাছে ১-৪ গোলে হারের পর তাঁর বিদায়ের ধ্বনি তুলে দিলেন।
আসলে ফেরান্দোর (Juan Ferrando) কোচিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। মোহনবাগানের সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। দল যতই চোট আঘাতে জর্জরিত হোক, প্রতি ম্যাচে ৪-৫ গোল হজম করা সমর্থকরা সইবেন কেন! গত এক মাসে বাংলাদেশে গিয়ে বসুন্ধরারা কাছে হেরেছে মোহনবাগান। পাঁচ গোল খেয়েছে ওড়িশার কাছে। ছিটকে গিয়েছে এএফসি কাপ থেকে। তার পর আইএসএলে পরপর দুই ম্যাচে হার। এত ভালো দল নিয়ে এই ব্যর্থতা মানাটা কঠিন।
[আরও পড়ুন: ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র আগে বিশেষ বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, কী বললেন?]
স্বাভাবিকভাবেই হতাশ সমর্থকরা। হতাশ কোচ ফেরান্দো নিজেও। তিনি ম্যাচ শেষে বলে গেলেন, “সমর্থকরা হতাশ হওয়াটা স্বাভাবিক। আমি নিজেও হতাশ।” যদিও ব্যর্থতার জন্য চোট আঘাতকেই দায়ী করছেন মোহনবাগান কোচ। তাঁর বক্তব্য, “আমরা খুব কঠিন সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। দলে অনেক চোট আঘাত সমস্যা রয়েছে। সমর্থকদের বলব, এই কঠিন সময়ে আমাদের পাশে থাকুন।” এদিন ক্লাবের এক শীর্ষকর্তাও কোচের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। তবে ফলাফল যে হতাশার সেটাও মেনে নিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: দম্পতির পরিচয় দিয়ে মায়াপুরে হোটেল ভাড়া, সকালেই উদ্ধার মহিলার দেহ]
ফেরান্দোর কঠিন সময় এখনই কাটার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দিন চারেক বাদেই কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার আগে চোট আঘাত সমস্যা কমার বদলে উলটে বেড়েছে। শনিবার ৭৩ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রেন্ডন হ্যামিল (Brandon Hamil)। তার পর বাকি ম্যাচ মোহনবাগান খেলে ১০ জনে। পরের ম্যাচেও হ্যামিলকে পাওয়া যাবে কিনা, সংশয় রয়েছে।