সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দিন আগের কথা। ডিপফেকের শিকার হয়েছিলেন শচীন তেণ্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। টিম ইন্ডিয়ার (Team India) প্রাক্তন মহাতারকা সোশাল মিডিয়াতে উগরে দিয়েছিলেন ক্ষোভ। এবার মাস্টার ব্লাস্টারের অভিযোগের ভিত্তিতে এবার নড়েচড়ে বসল মুম্বই পুলিশ (Mumbai Police)। মুম্বই পুলিশের সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime) শাখা এই ইস্যু নিয়ে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। শচীনের পিএ রমেশ পারধের অভিযোগের ভিত্তিতে সাইবার পুলিশ আইপিসি ৫০০ এবং আইটি ৬৬ (এ) ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শচীনের পিএ রমেশ পারধে জমা করা নোটিসে লিখেছেন, ‘এই ইন্টারভিউ শচীন তেণ্ডুলকর ও তাঁর কন্যার ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাশাপাশি তাঁর পরিবারকে অসম্মানিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই ডিপফেক ভিডিও একেবারেই ভিত্তিহীন। কয়েক বছর আগে বিক্রম সাঠে নামক ক্রীড়া সাংবাদিককে শচীন একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকারের ভিডিও থেকেই এই ডিপফেক তৈরি করা হয়েছে।’
[আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম একাদশে রিঙ্কুর জায়গা পাকা? ইঙ্গিত দিলেন রোহিত]
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল শচীনের ভুয়ো ভিডিও। দেখা যাচ্ছে, একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের হয়ে প্রচার করছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার। শুধু তাই নয়, এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রচুর উপার্জন করছেন তাঁর মেয়ে সারা তেণ্ডুলকর (Sara Tendulkar) সেকথাও বলতে শোনা গিয়েছে শচীনকে। ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরেই তীব্র প্রতিবাদ করে সরব হয়েছিলেন ‘গড অফ ক্রিকেট’।
গত ১৫ জানুয়ারি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন শচীন। বিরক্তিকর ভিডিও নিয়ে ক্ষুব্ধ কিংবদন্তি জানান, তাঁর ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। সেখানে বলা হচ্ছে, ‘স্কাইওয়ার্ড অ্যাভিয়েটর কোয়েস্ট’ নামে একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপের প্রচার করছেন মাস্টার ব্লাস্টার। নকল শচীনকে এটাও বলতে দেখা যাচ্ছে যে, এই অ্যাপ ব্যবহার করে প্রচুর উপার্জন করছেন করছেন তাঁর কন্যা সারা। ভুয়ো ভিডিওটিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন শচীন।
নেটিজেনদের কাছে শচীনের আবেদন করেছিলেন, “প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন ভুয়ো ভিডিও বানানো হয়েছে। তাই এই ভিডিও দেখলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করুন। কোনও অভিযোগ জমা পড়লে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতে হবে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকেও। তাঁদের তরফে কোনও ব্যবস্থা না নিলে এমন ডিপফেক ভিডিও আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে।”
গত বছরই ডিপফেকের কবলে পড়েছিলেন দেশের একাধিক বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। এবার সেই তালিকায় নাম জড়িয়ে গেল শচীনের। শেষ পর্যন্ত তিনি আইনের দ্বারস্থ হতেই নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা।