shono
Advertisement

বিশ্বকাপ ফাইনালে নিশামের ছক্কা দেখেই প্রয়াত ছোটবেলার কোচ

ম্যাচ চলাকালীনই নিশামের জীবনে নেমে আসে আঁধার। The post বিশ্বকাপ ফাইনালে নিশামের ছক্কা দেখেই প্রয়াত ছোটবেলার কোচ appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 12:04 PM Jul 19, 2019Updated: 12:04 PM Jul 19, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনালের সুপার ওভারে তিনি যখন বাইশ গজে, একটা ছক্কা হাঁকিয়ে ফেলেছেন, তখনই জিমি নিশামের জীবনে নেমে এসেছিল চরম আঁধার! তিনি জানতেও পারেননি।

Advertisement

বিশ্বকাপ হাতে তোলার জন্য সুপার ওভারে ১৬ রান করতে হত নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু তারা ইংল্যান্ডের মতোই ১৫ রান তুলে কাপ হাতছাড়া করে তুলনায় কম বাউন্ডারি মারার সুবাদে। নিশাম আর গাপ্টিল যখন ইংল্যান্ডের রান টপকে যেতে চেষ্টা করছেন, তখনই হৃদরোগে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিশামের হাই স্কুলের শিক্ষক ও ছেলেবেলার কোচ ডেভিড গর্ডন। কার্যত তিনিই নিশামকে গড়ে তুলেছিলেন। গর্ডনের মেয়ে লিওনি জানিয়েছেন, তাঁর হাসপাতালের বেডে শুয়ে তাঁর বাবা যেরকম মৃত্যু চেয়েছিলেন, সেটাই হয়েছে। তাঁর কথায়, “যখন সুপার ওভারের শেষ ওভার চলছে, একজন নার্স এসে জানাল বাবার নিঃশ্বাসের ধরন বদলে গিয়েছে। তখনই নিশাম একটা ছয় মেরেছে। আর বাবাও এরপর মারা গেলেন।” লিওনি আরও জানান, তাঁর বাবার মধ্যে প্রবল রসবোধ ছিল। তিনি ছিলেন এক বর্ণময় চরিত্র। গর্ডন এটা উপভোগ করতেন।

বিশ্বকাপ হাতছাড়া হওয়ার পর নিশাম প্রবল হতাশায় যে টুইট করেছিলেন, তা নিয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছিল ক্রিকেটমহলে। নিশাম এই টুইটে লিখেছিলেন, ‘বাচ্চারা, তোমরা আর যাই করো, খেলাধুলাকে কেরিয়ার কোরো না। বরং ব্যাংকিং বা অন্য কিছুকে কেরিয়ার করো। খুব মোটাসোটা হও। তারপর ষাট বছর বয়সে সব শেষ করে ফেলো।’ নিজের হাই স্কুল টিচার ও শৈশব কোচের মৃত্যুতে নিশাম অবশ্য সিরিয়াস মেজাজে গভীর শোক জানিয়েছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘ডেভ গর্ডন আমার হাই স্কুল টিচার, কোচ ও বন্ধু। খেলার প্রতি তোমার ভালবাসা অন্যদের মধ্যে সংক্রামিত হত। বিশেষ করে আমরা, যারা তোমার অধীনে খেলেছি। আশা করি তুমি আমাদের দেখে গর্ববোধ করেছ। সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ। শান্তিতে বিশ্রামে থাকো।”

[আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ী কোচকে কেকেআর-এর থেকে ছিনিয়ে নিল সানরাইজার্স]

নিশাম যেভাবে তাঁর প্রয়াত হাই স্কুল শিক্ষক ও কোচকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, তাতে গর্ডন-কন্যা অভিভূত। লিওনি বলেছেন, নিশাম অসাধারণ সৌজন্য দেখিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য হল, “দারুণ সৌজন্যের ব্যাপার এটা। বাবা জিমির সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। ওঁর সঙ্গে জিমির বাবার বন্ধুত্ব ছিল। জিমি নিশাম নামটা সবসময় আমার বাবার হৃদয়ের কাছাকাছি থাকত। বাবা ওর জন্য খুব গর্বিত ছিল। জিমি কোথায় কোন সিরিজে কেমন খেলছে, ঠিক খেয়াল রাখত আমার বাবা।”

The post বিশ্বকাপ ফাইনালে নিশামের ছক্কা দেখেই প্রয়াত ছোটবেলার কোচ appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement