মোহনবাগান-১ বেঙ্গালুরু-০
(পেত্রাতোস)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কান্তিরাভায় উড়ল সবুজ-মেরুন পতাকা। এই কান্তিরাভা থেকেই তো ভারতসেরা হয়ে ফিরেছিলেন সনি নর্দে, বেলো রজ্জাকরা। রবিবার সেই কান্তিরাভায় গিয়ে বিজয়কেতন ওড়াল ফেরান্দোর মোহনবাগান (Mohun Bagan)।
আইএসএলের (ISL) জন্য এবার নিজের হাতে দল তৈরি করেছেন ফেরান্দো (Juan Ferrando)। ছেড়ে দিয়েছেন রয় কৃষ্ণর (Roy Krishna) মতো স্ট্রাইকারকে। প্রবীর দাস, সন্দেশও চলে গিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে। শনিবারের খেলাটা ছিল অনেকটা প্রাক্তন মোহনবাগান বনাম বর্তমান মোহনবাগান। ম্যাচটার গুরুত্ব ছিল ফেরান্দোর কাছে। সেই কারণেই ম্যাচ চলাকালীন স্পেনীয় কোচকে অত্যন্ত উত্তেজিত দেখাচ্ছিল।
[আরও পড়ুন:আরও সংকটজনক পেলে, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না ফুটবল সম্রাট]
ফেরান্দোকে স্বস্তি দিয়ে গেলেন পেত্রাতোস। তবে তার জন্য মোহনবাগান কোচকে অপেক্ষা করতে হল ৬৬ মিনিট। বক্সের একটু উপর থেকে তাঁর ডান পায়ের গোলাটা যখন আছড়ে পড়ল বেঙ্গালুরুর জালে, তখন আবেগে ভাসলেন মোহনবাগান কোচ। শূন্যে হাত ছুড়ে ‘কাম অন, কাম অন’ চিৎকার করছিলেন ফেরান্দো। আর অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেত্রাতোস দৌড় শুরু করলেন গ্যালারির দিকে। দেখে মনে হচ্ছিল তিনি উড়ছেন। তাঁর শটটা থামানোর জন্য শরীর ছুঁড়ে দিয়েছিলেন গুরপ্রীতও। কিন্তু এমন জায়গায় বলটা রাখেন পেত্রাতোস, সেখানে পৌঁছতে পারেননি গুরপ্রীত। গোলের পর পেত্রাতোসকে জড়িয়ে ধরেন ফেরান্দো। এই আলিঙ্গন, এই গোল উদযাপনই বুঝিয়ে দিচ্ছিল ম্যাচটা জিততে কতটা মরিয়া ছিলেন ফেরান্দো। ম্যাচ জিতে মোহনবাগান পৌঁছে গেল চার নম্বরে। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি বেঙ্গালুরু। মোহনবাগানও ব্যবধান বাড়াতে পারত। কিন্তু দিনান্তে গোলসংখ্যা আর বাড়েনি। এক গোলে ম্যাচ জিতলেও তিন পয়েন্ট, বেশি গোলে জিতলেও একই পয়েন্ট। জেতাটাই বড় ব্যাপার।
সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করেছিল বেঙ্গালুরু। খেলার শেষের দিকে মোহনবাগানের পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে আসে নারায়ণনের শট। যে রয় কৃষ্ণ একদা ছিলেন মোহনবাগান সমর্থকদের নয়নের মণি, তাঁকে বিপজ্জনক হতে দেননি মোহনবাগান ডিফেন্ডাররা। বলা ভাল ফেরান্দোর ট্যাকটিকাল কৌশল রয় কৃষ্ণকে নিষ্প্রভ করে রাখে। সন্দেশ, প্রবীরদের ছেড়ে দেওয়া বুমেরাং হয়ে ফিরলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হত ফেরান্দোকে। মর্যাদার লড়াইয়ে জিতলেন ফেরান্দো।