বরোদা: ১৮১/১০, ২৫৫/১০ (ঈশান পোড়েল ৪/৪০ ও ৩/৭০, আকাশদীপ সিং ২/৬৩ ও ৩/৬৯)
বাংলা: ৮৮/১০ ও ৩৫০/৬
৪ উইকেটে জয়ী বাংলা
স্টাফ রিপোর্টার: কথায় বলে, মর্নিং শোজ দ্য ডে। শুরুতে বাংলা দল বরোদার কাছে যেভাবে ধাক্কা খেয়েছিল, তাতে ফের প্রকট হয়ে ওঠে হারের ভ্রুকুটি। কিন্তু দুর্দান্ত কামব্যাক করে চমকে দিল বাংলা। সৌজন্যে দুই পোড়েল ব্রাদার্স। দাদা ঈশান পোড়েল (Ishan Porel) হাত ঘুরিয়ে দুই ইনিংসে তুলে নিলেন সাতটি উইকেট। আর অভিষেক ম্যাচেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স ভাই অভিষেকের। বাংলার এই দুর্দান্ত জয় প্রমাণ করে দিল, সব সকাল দেখে কিন্তু দিনের বিচার করা যায় না।
২০১৯-২০ মরশুমে বাংলা রনজি ট্রফি (Ranji Trophy) ফাইনাল খেলেছে ঠিকই, কিন্তু বছরের পর বছর কোথাও গিয়ে ‘ব্যাটিং বিপর্যয়’ নামক শব্দটা প্রায়ই জুড়ে যায় বাংলা দলের সঙ্গে। যার ব্যতিক্রম হয়নি বরোদার বিরুদ্ধেও। মাত্র ৮৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। তবে সেই দুঃখ ভুলিয়ে শনিবার, খেলার তৃতীয় দিন ফের আশার আলো দেখায় বাংলার পেস ব্রিগেড। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫৫ রানেই আটকে দেওয়া সম্ভব হয় বরোদাকে। ঈশান ও আকাশ দীপ তুলে নেন তিনটি করে উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন সিরিজেও নাকি ডাক পেতে পারেন ঈশান। এই ম্যাচের পারফরম্যান্সের পরে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারে তাঁর দাবি জোরাল হল বলেই মনে করা হচ্ছে। জোড়া উইকেট নেন মুকেশ কুমার। তবে জয়ের জন্য বাংলার প্রয়োজন ছিল ভাল ব্যাটিং। যেখানে বারবার ব্যর্থ হয়েছে বাংলা (Bengal Team)। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে একেবারে অন্য ছন্দে ধরা দিল দল।
[আরও পড়ুন: ‘টেস্ট দল থেকে বাদ দিয়ে ঋদ্ধিমানকে অপমান করেছে BCCI’, ক্ষোভের আগুন শিলিগুড়িতে]
৩৪৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ তৃতীয় দিনের শেষে অপরাজিত ছিলেন ৭৯ রানে। শেষ দিনে বাংলার দরকার ছিল ২০৩ রান। এদিন অবশ্য আর রান আসেনি অধিনায়ক অভিমন্যুর ব্যাট থেকে। ৭৯ রানেই ফেরেন প্যাভিলিয়নে। ৩৩ রানে আউট হন অনুষ্টুপ মজুমদার। ৩৭ রান আসে মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির ব্যাট থেকে।
তবে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে চমকে দেন শাহবাজ আহমেদ। আরসিবি দলে ফের সুযোগ পাওয়া বাংলার ক্রিকেটার ৭১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। প্রথম ইনিংসে ২০ রান করেছিলেন তিনি। কিন্তু এই জয়ের জন্য আলাদা করে যাঁর নাম উল্লেখ করতেই হয়, তিনি হলেন ঈশানের ভাই অভিষেক পোড়েল। অভিষেক ম্যাচে আট নম্বরে ব্যাট করতে এসে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন অভিষেক। শাহবাজ ও অভিষেকের পার্টনারশিপেই আসে কাঙ্খিত জয়।
এদিকে দিল্লির জার্সিতে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বজয়ী দলের অধিনায়ক যশ ধূল। দুরন্ত ছন্দে থাকা যশ অভিষেক ম্যাচের দু’টি ইনিংসেই করেন ১১৩ রান। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে রনজি ম্যাচের অভিষেক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন তিনি।