সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics) ব্রোঞ্জ জিতে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন পিভি সিন্ধু (PV Sindhu)। রিওর পর টোকিও। প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে পরপর দুটি অলিম্পিক পদক ঘরে তুলেছেন হায়দরাবাদি শাটলার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ গোটা দেশ শুভেচ্ছা আর প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সিন্ধুকে। কিন্তু একজনের থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও বার্তা পাননি তিনি। সিন্ধুর সাফল্য নিয়ে তাঁর যেন কোনও মাথাব্যথাই নেই। তিনি সাইনা নেহওয়াল (Saina Nehwal)। যাঁর হাত ধরে ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে এসেছিল ব্রোঞ্জ।
এ প্রসঙ্গে সিন্ধু জানান, তাঁর প্রাক্তন কোচ পুল্লেলা গোপীচাঁদ তাঁকে পদক জয়ের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সাইনার থেকে কোনও ফোন বা মেসেজ পাননি। তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র অবাক নন সিন্ধু (PV Sindhu)। ব্রোঞ্জ পদক পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পরে এমনই অভিব্যক্তি তাঁর। বুঝিয়ে দিলেন, সাফল্যের দিনেও পুরনো ঝগড়াকে মনের মধ্যে পুষে রেখে দিয়েছেন সাইনা। সিন্ধুর (PV Sindhu) কথায়, “গোপী স্যর আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এটাই ঠিক আছে। এখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় পাঠানো অভিনন্দন বার্তা খুলে দেখার সময় পাইনি। আস্তে আস্তে সকলকে রিপ্লাই করব।” সাইনা নেহওয়াল অভিনন্দন জানিয়েছেন? এ প্রশ্নের উত্তরে সিন্ধু বলেন, “সাইনা আমাকে কোনও কিছু জানায়নি। আসলে আমরা খুব বেশি কথাও বলি না।”
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: ভারতীয় অ্যাথলিটদের স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় আমন্ত্রণ PM Modi’র]
ঠিক কী নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল গোপীচাঁদ ও সিন্ধুর মধ্যে? জানা গিয়েছিল, গত বছর করোনা অতিমারীর মধ্যেও ট্রেনিংয়ের জন্য লন্ডন উড়ে গিয়েছিলেন সিন্ধু। পরে অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি ফিট হতেই ব্রিটেন গিয়েছিলেন। তবে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই দেশে ফিরে সিন্ধু সিদ্ধান্ত নেন যে গোপীচাঁদ অ্যাকাডেমিতে আর প্রশিক্ষণ নেবেন না। এরপর থেকেই সিন্ধু ও গোপীচাঁদের মনোমালিন্য ও দূরত্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। যদিও এনিয়ে কখনওই তাঁরা সামনে কিছু বলেননি। সাইনার সঙ্গেও বছর চারেক আগে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল সিন্ধুর। বেঙ্গালুরুতে কোচ বিমল কুমারের তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং করার পরও গোপীচাঁদের কাছে ফিরে গিয়েছিলেন সাইনা। আর তাতেই সিন্ধুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ফাটল ধরে। এখনও যে সেই তিক্ততা দুই তারকার মনেই বর্তমান, সিন্ধুর কথায় অন্তত সে ইঙ্গিতই স্পষ্ট।